পাতা:আদিশূর ও বল্লালসেন.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদিশূর ও বল্লাল সেন ربع با আপাততঃ অন্তঃকরণে এবম্বিধ প্রতীতির উদয় হয় বটে, কিন্তু উভয় ফলকের শ্লোকে বীরসেন প্রভূতি, এবং বল্লাল প্রভৃতি কোন সময় জীবিত ছিলেন, লেখা নাই। এজন্য উপরোক্ত স্থাপনা নিঃসংশয় রূপে স্বীকার করা যাইতে পারে না । এক সময়ে ভিন্ন স্থানে এক নামে দুই নৃপতির স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র বংশে বিদ্যমান থাকা, অথবা একদেশে স্বতন্ত্র সময়ে এক নামে ভিন্ন ভিন্ন বংশীয় নৃপতির বিদ্যমান থাকা অসম্ভব হইতে পারে না। যদিও বীরসেন এবং বল্লালসেন একবংশীয় স্বীকার করা যায়, তাহ হইলেও “চন্দ্রবংশোৎপন্ন” মাত্র লেখা থাকাতে সেনবংশীয়দিগের কোন প্রকার জাতির নির্দেশ হইতে পারে না । - - রাজসাহীর প্রস্তরফলক এবং বাখরগঞ্জের তামশাসনের কোন শ্লোকেই আদিশূরের নামোল্লেখ অথবা কোন প্রকার প্রসঙ্গ নাই। অতএব আদিশূর-সম্বন্ধে এতদুভয় ফলকাঙ্কিত শ্লোক সাক্ষাৎসম্বন্ধে প্রমাণ বলিয়া গণ্য হইতে পারে না । রাজেন্দ্র বাবু অনুমান করেন,বীরসেন আদিশূরের নামান্তর মাত্র, আদিশূরই বল্লালের পূর্বপুরুষ । বীরসেন চন্দ্রবংশীয় ক্ষত্রিয়, বল্লাল এই বীরসেনের অধস্তন পুরুষ, এবং চন্দ্রবংশোৎপন্ন হেতু ক্ষত্রিয় জাতি । এক্ষণে বীরসেনকে আদিশুর বলিয়া নিৰ্দ্ধারিত করিতে পারিলে, আদিশূরের ক্ষত্রিয়ত্ব সহজেই প্রতিপাদিত হইতে পারে। এতন্নিবন্ধন বোধ হয় রাজেন্দ্র বাবু উক্ত প্রকার অনুমান করিয়াছেন। কিন্তু তাহার এই অনুমান সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ; এবং তিনি অঙ্গে এক মহৎ ভ্রমে পতিত হইয়াছেন। বল্লাল আদিশূরের নিজকুলে জন্ম