বেদানুদ্ধরতে জগন্তি বহতে,
ভূগোলমুদ্বিভ্রতে,
দৈত্যং দাররতে, বলিং ছলয়তে
ক্ষত্রক্ষয়ং কুর্ব্বতে।
পৌলস্ত্যং জয়তে হলং কলয়তে
কারুণ্যমাতন্বতে,
ম্লেচ্ছার্চ্ছন্মুয়তে দশাকৃতিকৃতে
কৃষ্ণায় তুভাং নমঃ।
বলিতে বলিতে সে দীর্ঘ তাল, সেই উচ্চৈরব, সে গগনবিদারক তান ছাড়িয়া দিয়া শান্তি গায়িল;―
“স্মিত কমলা কুচমণ্ডল
ধৃত কুণ্ডল কলিত ললিত বনমাল
জয় জয় দেব হরে।”
বাহির হইতে যে সঙ্গে গায়িতেছিল সে আপনি গাইল,
দিনমণিমণ্ডন, ভবখণ্ডন মুনিজন মানস হংস―
শান্তি ভক্তিভাবে প্রণত হইয়া সত্যানন্দের পদধূলি গ্রহণ করিল, বলিল “প্রভো! আমি এমন কি ভাগ্য করিয়াছি যে, আপনার শ্রীপাদপদ্ম এখানে দর্শন পাই―আজ্ঞা করুন আমাকে কি করিতে হইবে” বলিয়া সারঙ্গে সুর দিয়া শান্তি আবার গায়িল;―
“তব চরণপ্রণতা বয়মিতি ভাবয় কুরু কুশলং প্রণতেষু।”
সত্যানন্দ বলিল “মা তোমার কুশলই হইবে।”
শান্তি। কিসে ঠাকুর―তোমার তো আজ্ঞা আছে আমার বৈধব্য!
সত্যা। তোমারে আমি চিনিতাম না। মা! দড়ির জোর না বুঝিয়া আমি জেয়াদা টানিয়াছি, তুমি আমার অপেক্ষা জ্ঞানী;