অজয়পারে দূরস্থ কাননান্তরের মধ্যে প্রবেশ করিয়া সেই ধ্বনি আবার ডাকিতে লাগিল “গুড়ুম্ গুড়ুম্ গুম্!” সত্যানন্দ আদেশ করিলেন, তোমরা দেখ কিসের তোপ। কয়েকজন সন্তান তৎক্ষণাৎ অশ্বারোহণ করিয়া দেখিতে ছুটিল, কিন্তু তাহারা কানন হইতে বাহির হইয়া কিছু দূর গেলেই শ্রাবণের ধারার ন্যায় গোলা তাহাদের উপর বৃষ্টি হইল, তাহারা অশ্বসহিত আহত হইয়া সকলেই প্রাণত্যাগ করিল! দূর হইতে সত্যানন্দ তাহা দেখিলেন। বলিলেন “উচ্চ বৃক্ষে উঠ, দেখ কি” তিনি বলিবার অগ্রেই জীবানন্দ বৃক্ষে আরোহণ করিয়া প্রভাতকিরণে দেখিতেছিলেন, তিনি বৃক্ষের উপরিস্থ শাখা হইতে ডাকিয়া বলিলেন “তোপ ইংরেজের।” সত্যানন্দ জিজ্ঞাসা করিলেন “অশ্বারোহী না পদাতি?”
জীব। দুই আছে।
সত্যা। কত?
জীব। আন্দাজ করিতে পারিতেছি না, এখনও বনের আড়াল হইতে বাহির হইতেছে।
সত্যা। গোরা আছে? না কেবল সিপাহী?
জীব। গোরা আছে।
তখন সত্যানন্দ জীবানন্দকে বলিলেন “তুমি গাছ হইতে নাম।”
জীবানন্দ গাছ হইতে নামিল।
সত্যানন্দ বলিলেন “দশ হাজার সন্তান উপস্থিত আছে; কি করিতে পার দেখ। তুমি আজ সেনাপতি।” জীবানন্দ সশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া উল্লম্ফনে অশ্বে আরোহণ করিলেন। একবার নবীনানন্দ গোস্বামীর প্রতি দৃষ্টি করিয়া নয়নেঙ্গিতে কি বলিলেন কেহ তাহা বুঝিতে পারিল না। নবীনানন্দ নয়নেঙ্গিতে কি উত্তর
১২