আক্রমণ করা বিধেয় বিবেচনা করিলেন না। মনে মনে এক অপূর্ব্ব কৌশল উদ্ভাবন করিলেন।
মাঘী পূর্ণিমা সম্মুখে উপস্থিত। তাঁহার শিবিরের অদূরবর্ত্তী কেন্দুবিল্লগ্রামে গোস্বামীর মেলা হইবে। এবার মেলায় বড় ঘটা। সহজে মেলায় লক্ষ লোকের সমাগম হইয়া থাকে। এবার বৈষ্ণবের রাজ্য হইয়াছে, বৈষ্ণবেরা মেলায় আসিয়া বড় জাঁক করিবে সংকল্প করিয়াছে। অতএব যাবতীয় সন্তানগণের পূর্ণিমার দিন কেন্দুবিল্লতে একত্র সমাগম হইবে, এমন সম্ভাবনা। মেজর উড বিবেচনা করিলেন যে পদচিহ্নের রক্ষকেরাও সকলেই মেলায় আসিবার সম্ভাবনা। সেই সময়েই সহসা পদচিহ্নে গিয়া দুর্গ অধিকৃত করবেন।
এই অভিপ্রায় করিয়া, মেজর উড রটনা করিলেন, যে তিনি মেলার দিবস কেন্দুবিল্ল আক্রমণ করিবেন। এক ঠাঁই সকল বৈষ্ণব পাইয়া, একদিনে শত্রু নিঃশেষ করিবেন। বৈষ্ণবের মেলা হইতে দিবেন না।
এ সম্বাদ গ্রামে গ্রামে প্রচারিত হইল। তখন যেখানে যে সন্তানসম্প্রদায়ভুক্ত ছিল, সে তৎক্ষণাৎ অস্ত্র গ্রহণ করিয়া মেলা রক্ষার জন্য কেন্দুবিল্ল অভিমুখে ধাবিত হইল। সকল সন্তানই কেন্দুবিল্লে আসিয়া মাঘী পূর্ণিমায় মিলিত হইল। মেজর উড যাহা ভাবিয়াছিলেন তাহাই ঠিক হইল! ইংরেজের সৌভাগ্যক্রমে মহেন্দ্রও ফাঁদে পা দিলেন। মহেন্দ্র পদচিহ্নের দুর্গে অল্পমাত্র সৈন্য রাখিয়া অধিকাংশ সৈন্য লইয়া কেন্দুবিল্লে যাত্রা করিলেন।
এ সকল কথা হইবার আগেই জীবানন্দ ও শান্তি পদচিহ্ন হইতে বাহির হইয়া গিয়াছিল। তখন যুদ্ধের কোন কথা হয় নাই, যুদ্ধে তাহাদের তখন মন ছিল না। মাঘী পূর্ণিমায়, পুণ্যদিনে,