কেহ কৃষ্ণবিষয়, ফরমাস করিয়া শুনিল? কেহ চাল দিল, কেহ দাল দিল; কেহ মিষ্ট দিল, কেহ পয়সা দিল, কেহ সিকি দিল। বৈষ্ণবী তখন শিবিরের অবস্থা স্বচক্ষে সবিশেষ দেখিয়া, চলিয়া যায়, সিপাহীরা জিজ্ঞাসা করিল “আবার কবে আসিবে?” বৈষ্ণবী বলিল “তা জানি না, আমার বাড়ী ঢের দূর।” সিপাহীরা জিজ্ঞাসা করিল “কত দূর?” বৈষ্ণবী বলিল “আমার বাড়ী পদচিহ্নে” এখন সেই দিন মেজর উড পদচিহ্নের কিছু খবর লইতেছিলেন। একজন সিপাহী তাহা জানিত। বৈষ্ণবীকে ডাকিয়া কাপ্তেন সাহেবের কাছে লইয়া গেল। কাপ্তেন সাহেব তাহাকে মেজর উডের কাছে লইয়া গেল! মেজর উডের কাছে গিয়া বৈষ্ণবী মধুর হাসি হাসিয়া, মর্ম্মভেদী কটাক্ষে উড সাহেবের মাথা ঘুরাইয়া দিয়া, খঞ্জনীতে আঘাত করিয়া, গান ধরিল।
“ম্লেচ্ছনিবহনিধনে, কলয়সি করবালং।”
উড সাহেব জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার বাড়ী কোথা বিবি।”
বিবি বলিল, “আমি বিবি নই, বৈষ্ণবী। বাড়ী পদচিহ্নে।”
উড। Well that is Padsin! Padsin is it? “হুঁয়া একটো গর হ্যায়?
বৈষ্ণবী বলিল ঘর?—কত ঘর আছে।”
উড। গর নেই,—গর নেই,—গর,—গর।
শান্তি। সাহেব, তোমার মনের কথা বুঝেছি। গড়?
উড। ইয়েস ইয়েস, গর! গর! হ্যায়?
শান্তি। গড় আছে। ভারি কেল্লা।
উড। কেট্টে আড্মি।
শান্তি। গড়ে কত লোক থাকে? বিশ পঞ্চাশ হাজার।