ভবানন্দ বলিল “তোমার উপর নাকি?”
জীব। বোধ হয়। ভগিনীর বাড়ীতে মহেন্দ্রের কন্যা রাখিতে গিয়াছিলাম।
ভব। তাতে দোষ কি, সেটা তো নিষিদ্ধ নহে। ব্রাহ্মণীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়া আসিয়াছ কি?
জীব। বোধ হয় গুরুদেব তাই মনে করেন।
একবিংশ পরিচ্ছেদ।
সায়াহ্নকৃত্য সমাপনান্তে মহেন্দ্রকে ডাকিয়া সত্যানন্দ আদেশ করিলেন,
“তোমার কন্যা জীবিত আছে।”
মহে। কোথায় মহারাজ?
সত্য। তুমি আমাকে মহারাজ বলিতেছ কেন?
মহে। সকলেই বলে তাই। মঠের অধিকারীদিগকে রাজ সম্বোধন করিতে হয়। আমার কন্যা কোথায় মহারাজ!
সত্য। তা শুনিবার আগে, একটা কথার স্বরূপ উত্তর দাও। তুমি সন্তানধর্ম্ম গ্রহণ করিবে?
মহে। তাহা নিশ্চিত মনে মনে স্থির করিয়াছি।
সত্য। তবে কন্যা কোথায় শুনিতে চাহিও না।
মহে। কেন মহারাজ!
সত্য। যে এ ব্রত গ্রহণ করে, তাহার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, স্বজনবর্গ কারও সঙ্গে সম্বন্ধ রাখিতে নাই। স্ত্রী, পুত্র, কন্যার মুখ দেখিলেও প্রায়শ্চিত্ত আছে। যত দিন না সন্তানের মানস সিদ্ধ হয়, তত দিন, তুমি কন্যার মুখ দেখিতে পাইবে না। অতএব