পাঠভেদ
১৪৯
আমার শক। আর এত রঙ্গ শিখিলাম কোথায়? একটি পুরুষমানুষের কাছে। সব তোমায় ভাঙ্গিয়া বলিব। কিন্তু এখানে বনে বসিব কেন? চল তোমার কুঞ্জে যাই।”
জীব। আমার কুঞ্জ কোথায়?
শান্তি। মঠে।
জীব। সেখানে স্ত্রীলোক যাইতে আসিতে নিষেধ।
শান্তি। আমি কি স্ত্রীলোক?
জীব। আমি মহারাজের নিয়ম লঙ্ঘন করিব না।
শান্তি। আমার প্রতি মহারাজের অনুমতি আছে। কুঞ্জেই চল, সব বলিতেছি। বিশেষ ঘরের ভিতর না গেলে আমার দাড়ি খুলিব না। দাড়ি না খুলিলে তুমি এ পোড়ার মুখ চিনিতে পারিবে না। ছি! পুরুষ এমন!
তৃতীয় খণ্ড—প্রথম পরিচ্ছেদ। পৃ. ৭৮, ২২শ পংক্তির “স্থানীয় রাজপুরুষগণ তখন”-এর পরিবর্ত্তে ১ম, ২য় ও ৩য় সংস্করণে ছিল—
তখন নগরের মহারাজাধিরাজের চৈতন্য হইল।
তৃতীয় খণ্ড—প্রথম পরিচ্ছেদ। পৃ. ৭৮, ২৮শ পংক্তির “বলিতে বলিতে চলিয়া যায়।” কথাগুলির পর ১ম, ২য় ও ৩য় সংস্করণে নিম্নলিখিত অংশ ছিল—
রাজা আসদ-উলজমান বড় বিভ্রাটে পড়িলেন। অনেকগুলি গোলা, কামান, হাতী, ঘোড়া পাঠাইলেন, কিছুতেই সস্তানদিগের “জয় জগদীশ হরে” শব্দের নিবারণ নাই। আসদ-উলজমান দেখিলেন যে রাজ্যচ্যুত হই।
তখন তিনি কাতরে ইংরেজকে চিঠি লিখিলেন। লিখিলেন যে, কোন মতে আমি আর রাজস্ব সংগ্রহ করিতে পারি না বা পাঠাইতে পারি না; আপনারা রক্ষা করেন তবেই খাজনা আদায় করিব, নচেৎ আপনারা আসিয়া আদায় করুন। ইংরেজেরা পূর্ব্ব হইতে নিজে কতক কতক থাজনা আদায় করিতেছিলেন কিন্তু এখন তাঁহাদিগেরও যত্ন বিফল হইতে লাগিল।
তৃতীয় খণ্ড—প্রথম পরিচ্ছেদ। পৃ. ৭৯, ১০ম পংক্তির “বিদ্রোহ নিবারণ জন্য প্রেরণ করিলেন।” স্থলে ১ম, ২য় ও ৩য় সংস্করণে ছিল—
বিদ্রোহ নিবারণ জন্য বীরভূম প্রদেশে প্রেরণ করিলেন।
তৃতীয় খণ্ড—প্রথম পরিচ্ছেদ। পৃ. ৭৯, ২০শ পংক্তির “হইয়া গেল।” কথাগুলির পর প্রথম তিনটি সংস্করণে নিম্নলিখিত পংক্তিটি ছিল—
এইরূপে ১১৮০ সাল বীরভূমে সন্তান নাম কীর্ত্তিত করিতে লাগিল।