পাতা:আনন্দমঠ - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

lo's তাহার এক কারণ বঙ্কিমচন্দ্র সেই সেই যুগের ফোটোগ্রাফ দিতে আদৌ চাম নাই ; এগুলিকে গছ-কার্য আকারে স্বষ্টি করিবেন, লোকশিক্ষার যন্ত্র করিবেন বলিয়া ধরিয়াছিলেন। কিছু কিছু বাস্তব সত্য ইতিহাস হইতে লইয়া, তাহাতে র্তাহার অদ্বিতী চরিত্রস্থষ্টির কল্পনা যোগ করিয়া, সবটার মধ্যে নিজ উৰ্দ্ধপ্রবাহিণী ভাবধারাঞ্জ ঢালি দিয়া এই গ্রন্থগুলির প্রাণপ্রতিষ্ঠা করিলেন, এক অপূর্ব্ব সামগ্রী বাঙ্গলা সাহিত্যকে দা করিলেন। দ্বিতীয় কারণ এই যে, আমাদের দেশ সম্বন্ধে ঐতিহাসিক মসলার অভাবে উপন্যাস লেখক—অনেক স্থলে পেশাদার ঐতিহাসিকও—কল্পনার সাহায্যে ফাক পুরাইতে বাং হন। এ কথাটা অতি পরিষ্কার বুঝা যাইবে, যদি আমরা তাহার আনন্দমঠের সহি স্কটের ওল্ড মর্টালিটি'র তুলনা করি। ছুইটি গ্রন্থই বিদ্রোহী সন্ন্যাসী বা ধর্ম্মোন্ম যোদ্ধাদের রাজশক্তির সহিত সংঘর্ষের কাহিনী । কিন্তু স্কটের গ্রন্থে কভেনান্টারদের বাব ও কার্য্যগুলির প্রায় সমস্তই ইতিহাসে পাওয়া যায়, কারণ তাঁহাদের কথাবার্তার রিপো এবং তাহাদের লিখিত পুস্তিকা ও অসংখ্য চিঠি বর্তমান আছে ; ইতিহাস-লেখক । বিদ্রোহীদের ঘরের কথা তাহাদের মুখ হইতেই শুনিতে পাইতেছেন ; তাহার উপ প্রতিপক্ষের অর্থাৎ গবর্ণমেণ্টের কাগজপত্র কাহিনী তো আছেই। কিন্তু বিদ্রোহী সন্তানগ নিরক্ষর ; তাহার বা তাহদের দলের ভিতরে প্রবেশ করিয়া অন্য কেহ সে সময়ে কো বিবরণ লিখিয়া যায় নাই তাই আজ আমাদের একমাত্র পুজি হেষ্টিংস লাটের কয়খান চিঠি এবং রেকর্ড অফিসে রক্ষিত নিম্ন ইংরেজ কর্ম্মচারীর কয়খানা রিপোর্ট, সুতরাং এখাে একতরফা অসম্পূর্ণ ব্যাখ্যানের উপর নির্ভর করিয়া ঐ যুগের ঘটনার বিবরণ ও মানবচন্ধি স্মৃষ্টি করা ভিন্ন আমাদের আর উপায় নাই? কিন্তু এটা সত্যসত্যই ক্ষতির কারণ নহে। বঙ্কিমের ঐতিহাসিক উপন্যাসগুলি:ে এমন পদার্থ আছে যাহা “পাথুরে, বিজ্ঞানসম্মত” ইতিহাসে কখন পাওয়া যায় না। সে সেই যুগের প্রাণ। ইহার একটা দৃষ্টান্ত দিতেছি। লটন যখন তাহার “লাষ্ট ডেজ অ্য পম্পি” লেখেন, তাহার পূর্ব্বে অনেক দিন ধরিয়া পম্পি-নগরী ধ্বংস হইবার সম যে সব গ্রীক ও রোমান লোক তথায় বাস করিত তাহদের ঘরকন্ন, হাটবাজা

  • আইডিালিজম কথাটাকে যদি আদর্শবা বলি, তবে এ অম্বুবাদে ইংরাজীর গন্ধ থাকিয়া যাই তাই উপরের কথাটি ব্যবহার করিব। তেমনি “শিক্ষার বাহন” (vehicle) এই অদ্ভুত শঙ্কটা শুনা য শ্রীশ্রণীতলা দেবীর বাহনকেই প্রথমে মনে পড়ে ! * ,