পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় অধ্যায়
১৯

চেষ্টা করিতে লাগিলেন। এই সময়ে কচ্ছভুজ অঞ্চলের ভুজ ডাকঘরে পোষ্টমাষ্টারের পদ শূন্য হয়। কর্ত্তৃপক্ষ গোপাল রাওকে সেই স্থানে বদলি করিলেন। কিন্তু ভুজে গিয়া আনন্দী বাঈকে স্কুলে পাঠাইবার কোন সুবিধাই হইল না। সুতরাং গোপাল রাও ঘরেই অবকাশ-কালে তাঁহাকে শিক্ষাদান করিতে লাগিলেন।

 ভুজে গমন করিয়া গোপাল রাও একটি নূতন অসুবিধায় পড়িলেন। আনন্দী বাঈকে এতদিন কেবল বিদ্যা-শিক্ষায় নিরত রাখা হইয়াছিল। সুতরাং তিনি রন্ধনাদি-কার্য্য শিক্ষা করিবার অবসর প্রাপ্ত হন নাই। মাতামহীর অনুগ্রহে গৃহস্থালী শিক্ষা করিবার তাঁহার কখনও আবশ্যকতাও হয় নাই। এক্ষণে সে সুবিধায় বঞ্চিত হওয়ায় গৃহকর্মের ভার তাঁহার উপর পতিত হইল। তিনি রন্ধনকার্য্যে পারদর্শিনী ছিলেন না, উহা তাঁহার নিকট বড়ই বিরক্তিকর বোধ হইত। ভুজে অন্য প্রকার সুখাদ্যও দুর্লভ ছিল। এই কারণে প্রথম প্রথম কিছু দিন এই দম্পতীকে ছোলাভাজা খাইয়া অতি কষ্টে কাল-যাপন করিতে হইয়াছিল।

 দেড় বৎসর ভুজ নগরে অবস্থান করিয়া আনন্দী বাঈ ইংরাজী ভাষায় ব্যুৎপত্তি লাভ করিলেন। দুই এক খানি সংস্কৃত পুস্তকও তিনি শেষ করিয়াছিলেন। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই তিনি সংস্কৃতভাষাজ্ঞানে গোপাল রাওকে অতিক্রম করিলেন। কোনও শ্বেতাঙ্গ মহিলার সাহায্যে তিনি সেলাই ও পশমের কারুকার্য্যাদিও শিক্ষা করিয়াছিলেন।

 এদিকে গোপাল রাওয়ের সহিত ইতঃপূর্বে মিশনরিগণের যে