পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৪
আনন্দী বাঈ

এরূপ অবস্থায় আনন্দী বাঈকে যেরূপ কষ্টে দিনপাত করতে হইত, তাহাতে তাঁহার স্বাস্থ্যভঙ্গ না হওয়াই বিচিত্র ছিল।

 ফেব্রুয়ারি মাসের প্রারম্ভে আনন্দী বাঈ “ডিপ্‌থিরীয়া” রোগে আক্রান্ত হইলেন। কণ্ঠনালীতে স্ফোটক হওয়ায় তাঁহার অসহ্য যন্ত্রণা-বোধ হইতে লাগিল। তাহার উপর জ্বর ও শিরঃপীড়া। সুতরাং দুই এক দিনের মধ্যেই তিনি নিতান্ত দুর্বল হইয়া পড়িলেন। সে যাত্রা তাঁহার বাঁচিবার আদৌ আশা ছিল না। কিন্তু তাঁহার সহপাঠিকাগণের যত্নে ও শুশ্রূষায় তিনি বহু কষ্টে আরোগ্য লাভ করিলেন। এই সময়ে তিনি গোপাল রাওয়ের ও শ্রীমতী কার্পেণ্টারের নিকট হইতে যে সকল আশ্বাসপূর্ণ পত্র পাইয়াছিলেন, তাহাতে তাঁহার মানসিক কষ্টের বহু উপশম হইয়াছিল।

 ফিলাডেলফিয়ায় গমনের পর পীড়া ভিন্ন আরও নানা প্রকারে তাঁহাকে কষ্টভোগ করিতে হইয়াছিল। পূর্বোক্ত কঠিন পীড়া হইতে আরোগ্যলাভের পর তিনি এরূপ দুর্ব্বল হইয়া পড়েন যে, বহুদিন পর্যন্ত তাঁহাকে স্কুলের বোর্ডিং গৃহে গিয়া নিরামিষ ভোজন করিতে হয়। এই ভোজনালয় কলেজের প্রধান অধ্যাপিকা মিস্ বড্‌লের তত্ত্বাবধানে ছিল। তাঁহার ব্যবস্থাদোষে ভোজনপ্রার্থিনীদিগের নানা প্রকার কষ্ট ও অসুবিধা হইত। ছাত্রীদিগের সুবিধা অসুবিধার প্রতি তিনি প্রায়ই দৃষ্টি রাখিতেন না। সেই ভোজনালয়ের কদন্ন ভক্ষণ করায় আনন্দী বাঈ কিছুতেই শীঘ্র স্বাস্থ্যলাভ করিতে পারিলেন না। তদ্ভিন্ন মিস বড্‌লের হস্তে তাঁহাকে