পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ অধ্যায়
৮১

তাঁহারা অপর জাহাজের টিকিট ক্রয় করিয়া উহাতে উঠিবার জন্য গমন করিলেন। কিন্তু জাহাজের অধ্যক্ষ তাঁহাদিগকে “নেটিব” বা “কাল আদমি” বলিয়া জাহাজে চড়িতে নিষেধ করিল। তাঁহারা ভাড়ার টাকা ফিরিয়া পাইলেন এবং অন্য জাহাজের সন্ধান করিতে লাগিলেন। এই ঘটনায় নামা-উঠা ও ভ্রমণ করিতে বাধ্য হওয়ায় রুগ্না আনন্দী বাঈর বিশেষ কষ্ট হইয়াছিল। কিন্তু উপায়াভাবে তাঁহাকে সমস্তই সহ্য করিতে হইল।

 ইহার পর শীঘ্রই তাঁহাদিগের অপর জাহাজে গমনের সুবিধা হইল। অর্থাভাব-বশতঃ গোপাল রাও আনন্দী বাঈর জন্য একখানি প্রথম শ্রেণীর টিকিট কিনিয়া আপনাকে তাঁহার ভৃত্যরূপে পরিচিত করতঃ নিজের জন্য তৃতীয় শ্রেণীর টিকিট ক্রয় করিলেন। লণ্ডন ত্যাগ করিবার পর আনন্দী বাঈ কয়েক দিন সুস্থ ছিলেন। তাহাতে তাঁহার মনে হইল যে, তিনি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যলাভ করিয়াছেন, স্বদেশের সুখকর বায়ুসেবনে তিনি নিরাময় হইবেন। এই ভাবিয়া তিনি স্বীয় স্বাস্থ্যের প্রতি কিঞ্চিৎ অযত্ন প্রকাশ করিতে লাগিলেন। সুতরাং আবার পীড়া বৃদ্ধি পাইল।

 এইরূপ রুগ্ন অবস্থায় ১৬ই নবেম্বর তারিখে শ্রীমতী আনন্দী বাঈ জোশী বোম্বাই নগরীতে উপস্থিত হইলেন। গোপাল রাওয়ের বন্ধুবর্গ তাঁহাদিগের প্রত্যুদ্‌গমনের জন্য সমুদ্রতীরে উপস্থিত হইয়াছিলেন। আনন্দী বাঈ স্বদেশীয় বেশভূষায় সজ্জিত হইয়া অর্ণবপোত হইতে অবতরণ করিলে তাঁহারা পুষ্পবৃষ্টি-সহকারে তাঁহাকে অভিনন্দিত করিলেন। আনন্দী বাঈর আগমন-সংবাদ