ইজ্জত বাড়ে। কিন্তু ঐ ছোটলোক একদিনও আমার বাড়ী আসে নি। তুমি এসেছ, বড়ই সুখী হয়েছি। ‘পাঠানকে জানিয়ে দিলাম, যে কোন দিন আমাকে খেতে ডাকবেন সেদিনই আমি আসব।
আমার কথা শুনে পাঠান বড়ই সুখী হলেন এবং পরের দিন তাঁর বাড়িতে খাবার জন্য নিমন্ত্রণ করলেন। ইতিমধ্যে লক্ষ্মী থালায় ভাত এবং বাটিতে তরকারী সাজিয়ে নিয়ে এলেন। ছোলার ডাল, পাঁঠার মাংসের ঝোল এবং প্রচুর আচার ছিল। বহুদিন পরে বাঙালী বোনের দেওয়া ডাল-ভাত খেয়ে তৃপ্ত হলাম।
পরদিন ঘুম থেকে উঠেই ভগ্নীপতির মুখদর্শন হল। মুখ হাত ধুয়েই তাঁর সংগে চললাম। পথে চলতে চলতে কলকাতার সম্বন্ধে অনেক বিষয়ের কথা বলে আমার মনে কলকাতার একটি চিত্র এঁকে তুলে ধরলেন। বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে দেখি লক্ষ্মী এবং ছেলেমেয়ে দুটি বাজারে যাবার জন্য কাপড় পরে প্রস্তুত হয়েছে। আমাকে চা রুটি দিয়েই তারা বাজারে যাবে ঠিক করেছিল। আমি কিন্তু তাতে রাজী হলাম না। ওদের সংগে বাজারে যেতে আমারও ইচ্ছা হল। পাঠানদের নিয়ম কিন্তু অন্য রকমের। অতিথিকে বাজারে গিয়ে কিছু কিনে আনতে নেই। আমি কিন্তু নাছোড়বান্দা। বললাম, আমিও বাজারে যাব এবং আমার যা ভাল লাগে তা কিনতে বলব। তিনি হেসে সন্মতি দিয়ে বললেন, ভাই বোন এক সংগে বাজারে যাবে তাতে আপত্তি কি?
লক্ষ্মীর ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাজারে গেলাম। পথে লক্ষ্মীকে বললাম, বাজারে গিয়ে আমার এক পয়সাও খরচ করা পাঠানদের মতে মহাপাপ। কিন্তু বোনকে যদি আমি আমার ইচ্ছামত কিছু কিনে দিই, তাতে কার কি আপত্তি থাকতে পারে? আমার দুটি বোন ছিল তাঁরা মারা গেছেন। আজ থেকে তুমিই আমার বোন। তোমাকে এবং তোমার ছেলেমেয়েকে কিছু কিনে দিলে শান্তি পাব। লক্ষ্মী তাতে কোন আপত্তি করলেন না। প্রথমত আমি ছেলেমেয়ে দুটিকে কিছু