দুঃখ হয়েছিল। অবশেষে তাঁরই কারখানার একটি হিন্দু মজুর বইএর সন্ধান দেয়।
বই—যা দেখতে আমার খুব আগ্রহ ছিল না, তাই শেষটায় আমার মনকে গভীরভাবে টানছিল। প্রশ্ন হ’ল বইগুলো দেখে আমার কি লাভ হবে? কোনও ধর্মগ্রন্থ আমার মনে দাগ কাটতে পারবে না তা যে ধর্মেরই হোক না কেন? এই কথাটা ভাবতে ভাবতেই একজন বৃদ্ধ পুস্তক-ব্যবসায়ীর দোকানে প্রবেশ করলাম। দোকানী বেশ ভদ্র। দোকানে প্রবেশ করা মাত্রই লোকটি আমার সংগে কথা বললেন। দোকানীর কথা বলার ধরনটি বেশ ছিল।
—আপনি ধর্মগ্রন্থ দেখতে চান না, তবে কি রকমের বই দেখাব বলুন? আচ্ছা, একটা বড় বই আছে যাতে ভাষা সম্বন্ধে নানা তথ্য লেখা রয়েছে। আপনি গুণী লোক, সে বইটাই দেখুন।
আমি তাতে রাজী হলাম এবং পুস্তক প্রদর্শনের রুমে বসলাম। ঘরটি ছোট। দুটিমাত্র খিড়কি দরজা। খিড়কি দরজা দিয়ে যে আলো আসে তা প্রচুর ছিল না। পুস্তক-বিক্রেতা বইখানা আমার সামনে রেখে দিয়ে বললেন, “বইখানা গ্রীক ভাষায় লিখিত বলেই মনে হয় কিন্তু অনেক গ্রীক বলেছেন বইখানা গ্রীক ভাষাতে লিখিত নয়।”
বইখানা হাতে নিয়ে তার কাগজ পরীক্ষা করছিলাম দেখে দোকানী হেসে বললেন, “এতে কোন লাভ হবে না—আপনি অক্ষর দেখুন তাতে লাভ হবে।”
পৃথিবীতে নানারকমের অক্ষর আছে। অক্ষর শব্দ লেখবার সাংকেতিক চিহ্ন মাত্র। এই সাংকেতিক চিহ্নের মধ্যে কোন্ দেশীয় সাংকেতিক চিহ্ন সবচেয়ে পুরাতন বের করা কঠিন কাজ। বইখানার অক্ষরগুলি পরীক্ষা করে দেখলাম, অক্ষরগুলির কোনরূপ সংস্কৃতি নাই। যাকে সংস্কার করে নেওয়া হয়েছিল তাকে বলা হয় সংস্কৃত। তবে কি এরূপ অক্ষরকেই সংস্কার করে নেওয়া