পাতা:আফগানিস্থান ভ্রমণ.djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



 আমানউল্লা সম্বন্ধে কিছু বলতে যাওয়া ভ্রমণ এ কাহিনীর অন্তর্ভূক্ত নয়। এটা আমি জানি এবং সকলেই অবগত আছেন তবুও আমানউল্লা সম্বন্ধে কিছু বলতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ আমানউল্লাকে অসাধারণ মানুষ বলতেই হবে। আমানউল্লা রাজারূপে আমার কাছে অসাধারণ মানুষ নন, মানুষরূপে অথবা সাধারণ মানুষরূপে বিশেষত্ব অর্জন করেছেন। সেই বিশেষত্ব কোন দিক দিয়ে সকলেরই জানবার ইচ্ছা হবে। আমানউল্লার অসাধারণত্ব অতীব নৃতন ধরণের যাহা সহজে সকল মানুষের কল্পনারও বাইরে। বর্তমানে আমানউল্লা ইতালীয় রোমে অবস্থান করছেন। একদা আফগানিস্থান বৃটিশের অধীন ছিল, আমানউল্লাই সেই পরাধীন দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, তারপরও বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদীরা আফগানিস্থানে অনেক রকমের কুটনীতির চাল চেলেছে এবং এখনও যে আফগানিস্থান হতে হাত ধুয়ে চলে গেছে বলা চলে না। আফগানিস্থান ও বিদেশীক রাষ্ট্রনৈতিক চালিয়াৎদের হাত থেকে রক্ষা পাবে সেই আশা বৃথা। রাজতন্ত্র ধনতন্ত্র ইত্যাদি বজায় রাখতে হলে আফগানিস্থান বৈদেশিক ধনতান্ত্রিক দেশগুলির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা অসম্ভব। আফগানিস্থানের চারিদিকে যেসকল রাজ্য আছে সেই দেশগুলির মধ্যে শুধু রুশ এবং চীন দেশই গণতান্ত্রিক। অন্য দুই দিকে বর্তমানে যে দুটি দেশ রয়েছে সেই দেশ দুটিতে শুধু ধনতন্ত্র কায়েম নাই, ইচ্ছাতন্ত্রেরও প্রাচুর্য দেখা যায়। অবশ্য পাকিস্থান সম্বন্ধে কোনও মন্তব্য চলে না। পাকিস্থানের শাসনতন্ত্র এখনও গড়ে উঠে নি। পাকিস্থানে কিরূপ গঠনতন্ত্র হবে। এখনও জানা যায় নি। তবে এটা ধরে নেওয়া যেতে পারে যেহেতু, পাকিস্থান ইণ্ডিয়ারই অংশ ছিল। সেজন্য ইণ্ডিয়াতে যেরূপ শাসনতন্ত্র প্রচলিত হবে পাকিস্থানে ও সেরূপই হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু পারস্যে এখনও যথা পূর্ব্বং তথা পরং