ব্যবস্থা। বাহাইদের স্থান পারস্যে নাই, সিয়া এবং সুন্নিতে যে পার্থক্য ছিল অনেকটা এখনও বর্তমান। উন্নতিকামী দল বিধ্বস্ত এবং ধনতান্ত্রিকরা শক্তিশালী।
এরূপ অবস্থায় আফগানিস্থান কোনও প্রকারে স্বাধীনতা বজায় রাখতে পেরেছে। সেজন্য বর্তমান আফগান সরকারকে ধন্যবাদ দেওয়া চলে। অবশ্য এর মধ্যে একটি কথা আছে। আফগান সরকার বর্তমানে “বাফার” ষ্টেটের কাজ করে যাচ্ছে। যেমন করেছিল এবং করছে ইউরোপের সুইজারল্যাণ্ড। সুইজারল্যাণ্ড এবং আফগানিস্থানের মধ্যে আর্থিক এবং সামাজিক পার্থক্য আকাশ পাতাল। নিজের দেশকে সুইডিশরা আধুনিক সভ্যতার আওতার মধ্যে এনেছে, আফগানিস্থান পূর্বে যেমন ছিল তেমনি রয়েছে।
আমানউল্লা আফগানিস্থানকে সুইজারল্যাণ্ড পরিণত করতে চেয়েছিলেন, বৃটিশ বৈরী হয়ে তাঁকে দেশত্যাগী করেছিল। আফগানিস্থান যদি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হয়ে দক্ষিণ এশিয়াতে নিজের নাম অর্জন করতে পারত। তবে ইণ্ডিয়া দ্বিখণ্ডিত হবার সম্ভাবনা ছিল না। বৃটিশ বড়ই চতুর। আমরা যাহা আজি চিন্তা করি বৃটিশ সেই চিন্তা পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে করে।
শোনা যায় আমানউল্লা অল্প বয়সেই ভারতীয় বিপ্লবী-সুলভ-মনোবৃত্তিও অর্জন করেন। আমরা যাকে ধর্ম বলি আমানউল্লা সেই বিষয়টারই সমালোচনা করেন প্রথম। ধর্ম সমালোচনা করে বুঝতে পারেন আমরা যাকে ধর্ম বলি বাস্তবিক পক্ষে তাহা ধর্ম নয়, মতবাদ মাত্র। ধর্ম সম্পূর্ণরূপে এক পৃথক তথ্য, মহম্মদ কথিত কোরাণ মহম্মদের মতবাদ মাত্র, যিশুখৃষ্ট, শ্রীকৃষ্ণ এবং অন্যান্য অবতারগণ যাহা বলেছেন সবই তাদের মতবাদ। মতবাদ অবশ্য পালনীয় বিষয় নয়। হিন্দুর শ্রীকৃষ্ণের কথিত গীতা মেনে চলে, মুসলমানেরা মানে না; তা’বলে মুসলমানেরা কি জাহান্নামে চলে গেছে! এর জন্য কেহই জাহান্নামে যায় না এবং যাবেও না।