যখন সে বুঝতে পারল তার বাঁচবার আর কোন উপায় নাই তখন সে সাক্কোর পা জড়িয়ে ধরল। বাচ্চা-ই-সাক্কোর ইঙ্গিতে সবাই সরে দাঁড়াল। লোকটাও বেঁচে গেল। এর নাম চেলারাম। কাংড়া জেলাতে এর বাড়ী ছিল। বাচ্চা-ই-সাক্কো চেলারামকে সাহায্যকারী পেয়ে সুখী হয়েছিল এবং চেলারামও বাচ্চা-ই-সাক্কোকে বন্ধুরূপে পেয়ে স্বাধীন ভারতের চিন্তা করতে পারছিল।
যৌবনের প্রথমাবস্থায় চেলারাম কলিকাতা আসে এবং প্রথম মহাযুদ্ধে সেপাই হয়ে ইরাকে যায়। ইরাকে ইরাকীদের হালচাল দেখে তার মন দমে যায় এবং ডিসচার্জ হয়ে উত্তর-পশ্চিম-সীমান্ত প্রদেশে মোটর ড্রাইভারের কাজ আরম্ভ করে। আফগান যুদ্ধ আরম্ভ হবার পূর্বে সে আফগানিস্থানে যায় এবং মোটর একসিডেণ্ট করার জন্য জেল হয়। চেলারাম আফগানিস্থানের জেলের অবস্থা জানত না, দ্বিতীয়ত সেখানকার হিন্দুদের সংগেও মিলামিশা করত না, সেজন্যই সে দুর্দশাগ্রস্ত হয়েছিল। চেলারাম মনে করত আফগানিস্থান অনেক উন্নত হয়েছে কিন্তু আলোর কাছেই ঘন অন্ধকার এ ধারনা সে করতে পারে নি। এই সম্বন্ধে আমার অভিজ্ঞতা কান্দাহার অধ্যায়ে কিছু বলেছি।
চেলারাম ভালভাবেই বুঝতে পেরেছিল তথাকথিত ধর্ম এবং বর্তমান অর্থনীতি মানুষের শত্রু। কিন্তু সে জানত না তথাকথিত ধর্ম এবং বর্তমান অর্থ নীতির আওতা হতে কি করে রক্ষা পাওয়া যায়। মূর্খ হয়েও সে পণ্ডিতের মতই কাজ করে চলল্। বিদ্রোহ কি করে করতে হবে সেই সম্বন্ধে যখনই আলোচনা হ’ত তখন সেও থাকত। অন্যান্য হিন্দু কয়েদীরাও যোগ দিত। হিন্দু কয়েদীরা জেলে স্বাধীনতা পেয়েছিল।
অবশেষে বিপ্লব আরম্ভ হয়। বিদ্রোহ বিদেশী সৈন্য মুকতি পোশাকে যোগ দেয়। প্রথমত আমানউল্লা জয়ী হতে থাকেন পরে মুফতী সৈন্যের সাহায্যে বিদ্রোহীরা বিজয়ী হয়। আমানউল্লা কান্দাহারে পলায়ন করেন। হিরাতের সুবেদার কান্দাহার আক্রমণ করার পূর্বেই আমানউল্লা চামন হয়ে বম্বে