ইন্দো-এরিয়ান্। ইন্দো-এরিয়ান্রা সর্বত্র উন্নতি করেছে। এখানে কোন দোষে তারা একেবারে আদিমযুগে পড়ে আছে?
বাস্তবিক পক্ষে ভারতে নানা জাতের বাস। ভারতে দ্রাবিড়কৃষ্টির প্রাধান্য ছিল। আফগানিস্থানেও দ্রাবিড়দের প্রাধান্য ছিল এবং সেখানেও দ্রাবিড় এবং ইন্দো এরিয়াম-এ মিশ্রণ হয়েছিল। তাই দেখছিলাম এবং পথ চলছিলাম। যখনই দেখতাম একজন ইংলিশম্যান্ পাজামা, কামিজ এবং মাথায় পাগড়ী বেঁধে খালি পায়ে বসে আছে তখনই ভাবতাম এরূপ কেন হয়? এরা ইংলেণ্ডের ইংলিশ না হয়ে মালা টপকাচ্ছে কেন? ভাবতাম এদের কাছে বোধহয় সাগর নেই সেজন্যই নরডিক্ হয়েও দ্রাবিড় সভ্যতার কাছে মাথা নত করছে। দ্রাবিড় সভ্যতায় আছে শুধু গঠন। কিন্তু ছিল না বিপ্লব এবং এখনও নেই বিপ্লব। আফগানিস্থানে অনেক যুদ্ধের সংবাদ পাওয়া যায়। সিয়া-সুন্নিতে যুদ্ধের ইতিহাস আছে, সুলতান মামুদের সোমনাথ আক্রমণের কথা আছে কিন্তু সামাজিক অন্তর্বিপ্লবের কোন নিদর্শন দেখতে পাই নি।
আমানউল্লা অন্তর্বিপ্লবের সূচনা করেন, বৃটিশ সেই অন্তর্বিপ্লব দাবিয়ে দেয়। এরূপ হল কেন? এটা কি দ্রাবিড় সভ্যতার প্রভাব না আর কিছু? সিমেটিক সভ্যতার উপর দ্রাবিড় প্রভাব প্রচণ্ডভাবে আঘাত করে এবং সেজন্যই আমরা মক্কাতে কাবা মসজিদ দেখতে পাই, এখানেও কি তাই? কাবুল হতে হিরাত পর্যন্ত বেড়িয়ে দেখলাম আমার ধারনাই ঠিক। যে সভ্যতা সিমেটিক সভ্যতার উপর প্রবল আঘাত করেছিল সেই সভ্যতা ও ইন্দো-এরিয়ান সভ্যতা এখানে এমনি আঘাত করেছিল যে সাংখ্য নামে প্রবল প্রতাপান্বিত দার্শনিকও সেই প্রভাব এড়াতে পারেন নি। অবশেবে বলেছেন, “কি জানি, এক্স পরে-ত কিছুই বলতে পারি না।”
অধিকরাত্রে আমরা গজনী পৌঁছলাম। কোথাও না থেমে সরকারী হোটেলের দরজায় গাড়ি থামানো হল, ইচ্ছা সেখানে রাত্রিবাস করা। গজনী