পাতা:আফগানিস্থান ভ্রমণ.djvu/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪২
আফগানিস্থান ভ্রমণ

সেরূপ ঘরে বাস করতে নেই, এ ছিল কয়েকজন মোল্লার বিধান। সেই বিধান মানতে গিয়েই এই বিপদকে ডেকে আনা হয়েছিল। আমি যখন পাঠানের সংগে কথা বলছিলাম তখন মোটর ড্রাইভার বললেন “এদিকে আসুন বিশেষ দরকার আছে। হোটলে গিয়াই শুনলাম, বয় নাকি বলেছে আজ যদি আমি এখানে থাকি তবে আমাকে হত্যা করবে। হোটেলের কেরাণী কথাটা নাকি ফাঁস করে দিয়েছে। বয় কেন আমাকে হত্যা করবে তার কারণ আমি জানতাম। গতরাত্রে সে আমার কাছ থেকে টাকা চেয়েছিল। টাকা পায় নি এটাই হল তার আক্রোশের কারণ। কেরাণী বিষয়টি গোপন রাখা ভাল মনে করে নি বলেই বলে দিয়েছিল। হোটেলে পৌঁছে দেখলাম বয় কাঁপছে। সান্ত্বনা দিয়ে বল্‌লাম তুমি আজ এখান থেকে চলে যাও আমরা চলে গেলে ফিরে এস। বয় তৎক্ষণাৎ হোটেল ছেড়ে চলে গিয়েছিল।

 গজনীতে মুসলমানই বেশি তবুও হিন্দুর প্রতি এদের এত বিদ্বেষ কেন তা অবগত হওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিলাম। তারা বলেছিল যে, হিন্দুদের প্রকৃতি পয়মালের মত। পয়মাল মানে শূকর। শূকর জানে আক্রমণ করতে, মরতে এবং মারতে। এখানে হিন্দুরাও সেরূপ। তারা দরকার হলে আক্রমণ করে, মরে এবং মারে। অতএব এরূপ লোকের রীতিনীতি গ্রহণ করা নিশ্চয়ই অন্যায়।

 বিকালে গজনীর পুলিশ অফিসারের সংগে সাক্ষাৎ করি। তিনি বেশ আদর-যত্ন করলেন। আমিই আফগানিস্থানের মোল্লাইজমের কথা উঠাই। তিনি বললেন “এখন আফগানিস্থানের মোল্লাইজম বিদেশীর দ্বারা পরিচালিত হয়। যত বৎসর আমানউল্লা রাজা ছিলেন তত বৎসর মোল্লারা মানুষের মতই কথা বলত এবং সমাজের রীতি-নীতি মেনে চলত, এখন তারা সমাজ পরিচালনা করছে। মোল্লারা অপরকে উস্‌কিয়ে দেয় মাত্র, নিজেদের কোন শক্তি নাই। শুধু তাই নয় এরা প্রথম শ্রেণীর ভীরু এবং কাপুরুষ। এদের দমন করতে এক