পাতা:আফগানিস্থান ভ্রমণ.djvu/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪৮
আফগানিস্থান ভ্রমণ

কোনও হিন্দুর বাড়ীতে রেখে যাও।” আমার আদেশ অনুযায়ী সে একটি হিন্দু-পরিবারে আমাকে রেখে যাবার জন্য গভীর রাত্রে একটি দরজার কড়া নাড়ল। বাড়ীর মালিক দরজা খুলে একজন অপরিচিত লোকের মুখ দেখা মাত্র মুখ ফিরিয়ে নিলেন কিন্তু মোটর ড্রাইভার ছাড়বার পাত্র নয়। সে বললে, “আমি ত এঁকে তোমার দরজায় রেখে যাচ্ছি তারপর তুমি যা হয় করো।” যেমন কথা তেমন কাজ। আমাকে রেখে মোটর ড্রাইভার তখনই চলে গেল। বর্জনশীল মনোবৃত্তিসম্পন্ন হিন্দু মহাশয় আমাকে ঘরে স্থান দিতে বাধ্য হলেন এবং তার পরের দিন সকালে উঠেই নিকটস্থ শিব-মন্দিরে আমার থাকবার এবং খাবার ব্যবস্থা করে দিয়ে কৃতার্থ করলেন। শিব-মন্দিরে আসার পর পায়ের রোগ সেরেছিল, শরীরের গ্লানি অপসরণ হয়েছিল, জানবার মত সুযোগ হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে বাবা ভোলানাথ নামক মন্দির-রক্ষকের সাহায্য পেয়ে আফগানিস্থান সম্বন্ধে যা কিছু জানবার ছিল, সবই জেনে নিয়েছিলাম।

 কান্দাহারের অন্য কিছু বলবার পূর্বে সহরটির প্রাকৃতিক অবস্থা বিশেষ করে বলা চাই। আমরা যখন দারজিলিং যাই তখন সেখানে যেয়েও পাহাড়িয়া পথে চলাফেরা করি। কান্দাহার সেরূপ নয়। বেশ সুন্দর সমতল ভূমি। শহরের মধ্যে প্রবেশ করলে মনে হয় না আশেপাশে পাহাড় রয়েছে। অথচ চামনের দিক থেকে যদি কান্দাহার যাওয়া যায় তবে বুঝতে পারা যাবে কত পাহাড় ডিঙ্গিয়ে তারপর কান্দাহার পৌঁছান যায়। কত বিপদসংকুল পথ পেরিয়ে তারপর কান্দাহার পৌঁছবার সৌভাগ্য হয়। অবশ্য যে পথটার কথা আমি বললাম তার সবটা আমি দেখি নি কিন্তু পিসিন পর্যন্ত দেখেছি এবং তাতেই ধারণা হয়েছে তথা বাথিব বেলুচিস্থানের পার্বত্য অঞ্চল কত বন্ধুর। এখানে তথাকথিত শব্দটি ব্যবহারের কারণ হল, বেলুচিদের পাঠান হতে বিচ্ছিন্ন করতে চাই না। যাদের ভাষা, সংস্কৃতি একই তাদের বিচ্ছিন্ন করবে এবং শাসন ওশোষণ করবে পুঁজিবাদীর দাস সাম্রাজ্যবাদী। আমি কেন এই পাপে পা