স্ত্রীলোকটির সন্তান হবার সম্ভাবনা হয়েছে অথচ এদিকে বিয়ে হবার নামটি নেই। এখন এদের একটিমাত্র পথ খোলা রয়েছে, যদি সন্তানটি রক্ষা করতে হয় তবে প্রকাশ্যে ইসলামধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান প্রথামতে বিয়ে করা, এ ছাড়া আর কোন পথ নেই। এখানে আর্যসমাজীও নেই যে এর বন্দোবস্ত করতে পারে।
যারা আড্ডাতে বসেছিলেন তাদের সকলকেই জিজ্ঞাসা করলাম। বলুন ত এ সম্বন্ধে এখানকার আইন কি বলে?
এখানকার প্রথা এই যে, যদি কেউ গোপনে অন্য স্ত্রীলোকের সতীত্ব নষ্ট করে তবে আইনমতে সে স্ত্রীলোকটিকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়।
আইন জেনে নিয়ে বল্লাম “স্ত্রীলোকটি বিচারপ্রার্থী হোক এবং কাজি যখন পুরুষটিকে বিয়ে করতে বলবেন তখন সে যেন তৎক্ষণাৎ রাজি হয়। তখন কথা হবে কোন্ ধর্মমতে বিয়ে হবে?” আমি বল্লাম “সে যেন তখন মুসলিম ধর্ম মতে বিয়ে করতে রাজি না হয়, তা হলে কাজি হিন্দুমতে বিয়ের ব্যবস্থা করিয়ে দিতে বাধ্য হবেন।”
আমার প্রস্তাব মত স্ত্রীলোকটি বিচারপ্রার্থী হয়েছিল। কাজি হিন্দুদের হিন্দুমতে বিয়ে করিয়ে দিতে আদেশ করেন। হিন্দুটি রাজি হয়েছিল, বিয়ে হয়ে গেছে বলে স্বীকারও করেছিল, কিন্তু কাজে কিছুই করেনি বলে শুনেছিলাম।
অতি কম লোকই ঐসব ব্যাপারে বিচারপ্রার্থী হয়। অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিবাহকার্য সম্পন্ন করে। এরূপ করেই কান্দাহারে হিন্দুদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আমার মনে হয় পঞ্চাশ বৎসরের মধ্যেই কান্দাহার হতে হিন্দু লোপ পাবে। কারণ এখানে কোনরূপ সামাজিক পরিবর্তন হিন্দুদের মধ্যে মোটেই আসছেনা।
কান্দাহারে একমাস থাকার পর শরীর সুস্থ হয়ে উঠল, কিন্তু হিরাতের পথ তখনও জলে ভর্তি ছিল। সেজন্য আরও এক সপ্তাহ কান্দাহারের পথে-ঘাটেই বেড়িয়ে কাটাতে হল। এই একটি সপ্তাহ হিন্দুদের সংশ্রব পরিত্যাগ করে