টপকাবার ফুরসত পায় না। মালা টপকানোটা আফগানিস্থানে একটি ফেশন এবং এখনও সেটা আছে। যে কেউ একটু আরামের মুখ দেখে সেই অমনি মালা কিনে টপকাতে শুরু করে দেয়। রাজকর্মচারী হতে সাধারণ ধনী পর্যন্ত সবাইকে এই কর্মে লিপ্ত দেখা যায়। যে কয়েক দিন গ্রামে ছিলাম সেই দিনগুলি আনন্দেই কেটেছিল।
গ্রাম হতে ফিরে এসে আড্ডায় বসে কান্দাহার ছেড়ে হিরাতের দিকে যাবার কথাই ভাবছিলাম এমন সময় ইয়াকুব এসে হাজির। তাকে দেখেই আমার ইচ্ছা হল তাকে কাছে এনে বসাই কিন্তু আমাকে সে যে পরিচয় দিল তাতে তার ওপর মন বিরূপ হয়ে উঠল। সে সহকারী মোটর ড্রাইভারের কাজ নিয়েছিল। এখন সে সাধারণ মজুর কিম্বা কৃষকও নয়। সহকারী মোটর ড্রাইভারের কাজ যারা করে, তাদের অনেক সময়ই লোকে অসৎ চরিত্র বলে গণ্য করে। সুতরাং এ ধারণা মনে বদ্ধমূল হওয়া অসংগত নয়, এবার ইয়াকুবের চরিত্র কলুষিত করতে বসেছে। সে আমাকে বললে “শুনেছি, আপনি নাকি হিরাত যাবার মোটর খুঁজেন, আমাদের একখানা মোটর আছে। যদি আপনি আমাদের মোটরে হিরাত যান তবে সুখী হব। তৎক্ষণাৎ তার সংগে মোটরের ভাড়া ঠিক করে কিছু টাকা অগ্রিম দিয়ে তার মোটর কোথায় আছে দেখবার জন্য বেরিয়ে পড়লাম। আড্ডা হতে বের হয়ে এসেই ইয়াকুবকে জিজ্ঞাসা করলাম সে কেমন আছে, এতদিন কোথায় ছিল—ইত্যাদি?
সে আমাকে জানালে লেখাপড় যা শিখেছে তাই যথেষ্ট। এখন সমুদয় আফগানিস্থান বেড়িয়ে তারপর সীমান্ত দেশগুলি দেখে রাজনীতি সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। সেজন্যই সে এই রকমের কাজ জুটিয়েছে। ছাত্র হয়ে ঘুরে বেড়ানো সন্দেহ উৎপাদন করে।
মোটরের আড্ডা দেশি দূরে ছিল না। আমরা সেখানে কয়েকজন আফগান ড্রাইভারকে জুয়া খেলায় ব্যস্ত দেখলাম। তারা অনেকেই আমাকে একজন