বেশ ভাল করেই নকল করেছিল। তারা স্বাধীন মুসলমান দেশগুলির পদাংক অনুসরণ করা দূরের কথা, নিজেদের আদর্শ ভুলে গিয়ে সর্বনাশের পথেই এগিয়ে চলেছিল।
আজ যদি এটা আফগানিস্থানের মসজিদ না হয়ে ভারতের কোন মন্দির অথবা মসজিদ হত, তবে আমাকে এই শীতের রাতে বাইরে শুয়ে নিমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে হ’ত। মন্দিরের গোঁড়া পুরোহিত এবং মসজিদের মোল্লা কেউ আমার বিরুদ্ধ আচরণকে উদার দৃষ্টিতে দেখতে পারত কিনা সন্দেহ। এসব কথা যতই ভাবতেছিলাম ততই মন বিগড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু কালাপাহাড়ী যুগ চলে গিয়েছে। নতুন যুগের নতুন চিন্তা-পদ্ধতির সাথে তাল রেখে নতুনভাবে আমাদের চলতে হবে। মন্দির বা মসজিদের ইঁট-পাথরকে না ভেংগেও ধর্মগত, সম্প্রদায়গত সংকীর্ণতার উচ্ছেদ করে মন্দির বা মসজিদকে আমরা বৃহত্তর মানবতার উদার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। তা যদি না পারি, তবে জাতি হিসেবে আমরাও একদিন মন্দির বা মসজিদের ভঙ্গুর ইট-পাথরের মতই জীর্ণতা প্রাপ্ত হয়ে ভূগর্ভে সমাধি লাভ করব।
এমনি ধরনের চিন্তা করে যখন পথ চলছিলাম, হঠাৎ কোথা হতে একটা বুলডগ্ আক্রমণ করল। বুলডগের চরিত্র জানতাম, সেইজন্যই সাইকেল হতে নেমে পড়লাম। বুলডগের আক্রমণ এবং নেকড়ে বাঘের আক্রমণ একই রকমের। সাইকেল হতে নেমে দাঁড়াতে দেখে বুলডগ্টা একটু থম্কে দাঁড়াল এবং পরে কাছে এসে আমার গা শুঁকতে লাগল, কিন্তু কামড়াল না। আফগানী বুলডগের একটা সহজ বুদ্ধি আছে। চোর-ডাকাতকে ওরা চেনে এবং তাদের আট্কে রাখে এবং কামড়ায়ও। তবে আফগানিস্থানে বুলডগের সংখ্যা খুবই কম। শীতের সময় যখন সাইবেরিয়া হতে নেকড়ে বাঘের দল আফগানিস্থানে অভিযান চালায়, তখন অনেকেই তাদের বুলডগ্কে ঘরে বেঁধে রাখে। অনেকে আবার ছেড়েও দেয়। যারা ছেড়ে দেয় তাদের বুলডগ্ কচিৎ ফিরে আসে।