বোখারার বিশেষ ঘটনা
উত্তর-পশ্চিম দিক হতে প্রবল বায়ু বইছিল। তুষারপাতের খুবই সম্ভাবনা, তা সত্ত্বেও একটি যুবক বোখারার বিপরীত দিকে একরূপ দৌড়েই যাচ্ছিল। যুবক গন্তব্যস্থানে পৌঁছবার পূর্বেই তুষারপাত শুরু হ’ল। তুষারপাতে সে অভ্যস্ত বলেই এই দুর্যোগেও চলতে তার কষ্ট হয় নি। সে চিন্তা করছিল তার স্ত্রীর কথা। তার স্ত্রীর অভুক্ত মুখ যখনই মনে পড়ছিল, তখনই তার শরীরের রক্ত গরম হয়ে উঠতেছিল। কিন্তু বেশীক্ষণ সে এভাবে চলতে পারল না, হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে স্তুপাকৃতি বরফের উপর পড়ে গেল। যুবকের নাম মামুদ।
ওদিকে রুশ দেশের সীমান্তরক্ষীরা যুবককে দূরবীনের সাহায্যে লক্ষ্য করছিল। যুবককে পড়ে যেতে দেখে একজন সীমান্তরক্ষী দৌড়ে এসে তার মুখে ওয়াকী (রুশ দেশীয় মদ) ঢেলে দিল এবং হাতে দিল কতকটা কন্যুক (রুশ দেশীয় কড়া মদ) ঘসে। যুবকের জ্ঞান হ’ল; কিন্তু জ্ঞান হওয়ার পর যখন সে বুঝল যে তাকে মদ খাইয়ে রুশরা বাঁচিয়েছে, তখন রুশদের গালিগালাজ করল। বলল, “মদ খেয়ে জীবন লাভ করার চেয়ে মরাই তার পক্ষে ভাল ছিল।” ‘আল্লার’ কাছে এই ‘হারাম’ খাওয়ার জন্যে কি জবাব সে দেবে? কিন্তু সংগে সংগে যেই তার অভুক্ত স্ত্রীর কথা মনে হ’ল, অমনি তার জীবনদানের জন্য রুশীয় রক্ষীদের সে ধন্যবাদ জানাল এবং তাদের করমর্দন করে নিকটস্থ একটা কাফেতে গিয়ে প্রবেশ করল। যুবক তিনদিন অভুক্ত ছিল। অভুক্ত অবস্থায়ও পথ চলেছিল। অভুক্ত পাকস্থলীতে সামান্য মদ পড়াতেই তার নেশা হয়েছিল এবং নিকটস্থ চায়ের দোকানে প্রবেশ করে সামান্য গরম পাওয়াতে মাথায় রক্ত চড়েছিল। মাথায় রক্ত চড়াতে যুবকের জ্ঞান লোপ হয়। যারা চায়ের দোকানে বিশ্রাম করছিল