অভ্যাস আছে। ইয়াকুব আমার কথা শুনে আশমান হতে পড়ল, সে জিজ্ঞাসা করলে, “এই কথাটার মানে কি বলুন তা? আমি বললাম “এরা বার বার ইন্ক্লাব বলছে। লাহোরে একটি সাপ্তাহিক কাগজ আছে যার নাম ইন্ক্লাব, সেই কাগজের কাজই হল সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ জাগিয়ে রাখা। আমার ভয় হচ্ছে এখানেও সেই সাম্প্রদায়িব বিদ্বেষ প্রবেশ করেছে।”
ইয়াকুব বললে “ইন্ক্লাব মানে কি জানেন না?”
আমি বললাম, ইন্ক্লাব মানে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো বলেই মনে হয়।
ইয়াকুব হেসে বললে “আপনাদের দেশে ইন্ক্লাব মানে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ হতে পারে, কিন্তু এখানে তার অর্থ বিদ্রোহ। যাকগে চুপ করে থাকুন, এ কথাটি কখনও মুখে আনবেন না।”
ভাবলাম স্থানভেদে শব্দেরও বিভিন্ন অর্থ হয়ে থাকে। লাহোরে ইন্ক্লাব সাপ্তাহিক আরবী অক্ষরে ছাপা হত, অতএব তাতে বিদ্রোহ প্রচার করা হ’ত কি সাম্প্রদায়িক বিরোধ জাগিয়ে রাখা হ’ত তা আমি ঠিক করে বলতে পারি না। তবে আমাকে অনেকেই বলেছিল এই কাগজখানা আর্যসমাজীদের উণ্টো কথাই বলে।
ইয়াকুব এবং অপর চারজন লোক অনেকক্ষণ নিজেদের মধ্যে কথা বলে আমার মুখের দিকে তাকাল এবং খুব চিন্তা করে জিজ্ঞাসা করলে “তুম্ কাবুল যাওগে?”
আমি বললাম “সেরূপই ইচ্ছা”।
মোংগল লোকটি বললে “হাসিয়ার হো কে বাত করো, ইন্ক্লাব কী মতলব মালুম নেই আউর মুসাফির বল্কে জাহির করতা হায়, সরাম নেই হোতা?”
মনে মনে বললাম “জাহান্নামে যাক তোমার ইন্ক্লাব, যেরূপ ঠাণ্ডা পড়েছে তাতে প্রাণ বাঁচানই দায়। মুখে বললাম, একটু আগুন ধরাও না মোল্লা সাহেব, আমার শরীর যে কাঁপছে। আমার কথা শুনে সবাই এক সংগে হেসে উঠল।
দুর্গন্ধযুক্ত স্থানটাতে কোন মতে রাত কাটিয়ে পরদিন সকালে সকলের সংগে করমর্দন করে বিদায় নিলাম। ইয়াকুব পথে এসে মুখ খুললে, আমি মুখ বন্ধ