পাতা:আফগানিস্থান ভ্রমণ.djvu/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আফগানিস্থান ভ্রমণ
৬১

ইয়াকুব ফিরে এসে বলল “খুব বেঁচে গেছ। পুলিশ যদি তোমাকে আমার সংগে দেখত তবে আর রক্ষা ছিল না, নিশ্চয়ই করাগারে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আবদ্ধ রাখত।”

 আফগানিস্থানের জেলে খাদ্যের সুবন্দোবস্ত নাই। এখনও আফগান কারাগার আদিম অবস্থাতেই আছে। অনেক কারাগারে খাদ্য সরবরাহ করা হয় না। বাইরে থেকে কয়েদীকেই খাদ্য যোগাড় করে আনতে হয়। সেজন্য অনেক কয়েদীকে ডাণ্ডা বেড়ি পায়ে পথে ঘাটে দেখা যায়। বর্তমানে যদি কারাগারের পুরাতন প্রথা উঠে গিয়ে নতুন নিয়মের প্রবর্তন হয়ে থাকে ভালই। আমি কাবুলে থাকার সময় আব্দুল্লা নামে এক ভদ্রলোক বলেছিলেন যে আফগানিস্থানে অনেক আইনকানুন সত্বরই রদবদল হবে। তাঁকে শুভস্য শীঘ্রং করতে বলেছিলাম। তিনি হেসে বলেছিলেন, এদেশের কারাগারে আপনার আগমনের সম্ভবনা আছে নাকি? তাঁকে বলেছিলাম, আমার শত্র‌ুও যেন এরূপ কষ্টে না পড়ে।

 রাত কাটল। পরদিন ফের রওয়ানা হলাম এবং দুটি কাস্টম হাউস পার হয়ে কাবুল শহরে পৌঁছলাম। কাবুল শহরে পৌছবার পূর্বে ইয়াকুবের সংগে কথা হল, যদি আমি কান্দাহারে মোটরে করে যাই তবে সেও যাবে এবং উভয়ে একত্রে থাকবার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করব। কিন্তু কাবুলে পৌঁছেই ইয়াকুব অন্যত্র চলে গেলে, কারণ তার গতিবিধি পুলিশ পছন্দ করছিল না। ইয়াকুবও ছিল নাছোড়বান্দা ছেলে, কান্দাহারে আবার সে আমার সংগে হিরাত যাবে বলে মিলিত হয়েছিল। সে সব কথা পরে হবে।