মাঝে স্বাস্থ্যরক্ষার অজুহাতে এঁটোর গোঁড়ামিকে বজায় রাখার সার্থকতা কি তা বোঝা আমার পক্ষে শক্ত।
আহারের পর একবার কালীমূর্তি দেখতে গিয়াছিলাম। কালীমূর্তির কাছে নারায়ণেরও একটি বিগ্রহও ছিল। বিগ্রহগুলিকে যখন মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করছিলাম তখন নিশ্চয়ই ঠাকুর ভাবছিলেন আমি একজন মহাভক্ত। কিন্তু তিনি জানতেন না, আমি ভক্তির প্রেরণায় মূর্তিগুলির দিকে তাকিয়ে থাকিনি—দেখছিলাম শুধু তার গঠনপ্রণালী।
কয়েক সপ্তাহ ক্রমাগত চলার ফলে শরীরটা নেতিয়ে পড়েছিল। সেজন্য খাওয়ার পর বাইরে যেতে ইচ্ছা হচ্ছিল না। সন্দলের কাছেই বসে আফগানিস্থানের মানচিত্র দেখতেছিলাম।
বেলা বোধ হয় তখন ছ-টা। এরই মাঝে পূজারী তাঁর সহকারীসহ বাহির হতে ফিরে এসে বললেন “রাত্রে মন্দিরে থাকতে দেওয়া হবে না।” আমি তাঁদের কথা শুনে আস্তে ধীরে বললাম “যে-পর্যন্ত আমার থাকার অন্য বন্দোবস্ত না হচ্ছে সে পর্যন্ত আমি এখান থেকে নড়ব না এবং আমার অন্যত্র থাকার বন্দোবস্ত তাদেরই করতে হবে।” আমার দৃঢ়তা দেখে পূজারী দুজন বাইরে চলে গেলেন। কতক্ষণ পর আবার যখন তাঁরা ফিরে এলেন তখন তাঁদের সংগে আরও একজন দীর্ঘকায় বৃদ্ধ লোক ছিলেন। বৃদ্ধ এসেই আমাকে নমস্কার করে বললেন তিনি বিষ্ণু মন্দিরের পূজারী এবং তার মন্দিরেই আমার রাত কাটাবার সুবন্দোবস্ত হয়েছে। আমি কোন কথা না বলে সাইকেলটা টেনে নিয়ে তার সঙ্গে চললাম।
আমাদের পথের বাঁদিকে রুশিয়ার কনসালের বাড়ী। কনসালের বাড়ীর উপর মস্তবড় একখানা আধুনিক রুশিয়ার পতাকা পত পত করে উড়ছিল। তারপরই ডানদিকে পড়ল জাপানী কনসালের বাড়ী। ছোট একটা সূর্য-মার্কা পুরাতন ময়লা কাপড় ঘরের দরজার কাছে ঝুলছিল। তারপরই আরম্ভ হল