পাতা:আফগানিস্থান ভ্রমণ.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আফগানিস্থান ভ্রমণ
৭৩

পূর্বেও আমি এ কাজই করতাম। আপনি বলছেন আমার কথা শুনবেন না, কালই দেখব আপনার কত শক্তি।”

 আমি বললাম “আমার প্রসংগ এখন বাদ দিয়ে বলুন তো ঐ পাঞ্জাবী মুসলমান যুবকদের কি হয়েছিল?”

 —তাঁদের হবে আর কি। এখানে হিন্দু-মুসলমান প্রশ্ন নাই, আমি আমার স্থানেই রয়ে গেলাম, তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হল।

 আমি বললাম “আমাকেও না হয় তাড়িয়ে দেবেন, আর কি করতে পারেন। বলুন?”

 প্রৌঢ় হেসে বললেন, তবে এদেশে না এলেই পারতে।

 পরদিন ভোরবেলায় আবার তিনি এসে হাজির হলেন। আমি তখনও লেপের নিচেই ছিলাম। অনিচ্ছায় লেপ ছাড়তে হল। হাত ধুয়ে এক পেয়ালা চা খেয়ে বসলাম গিয়ে টমটমে। টমটম প্রবল বেগে পুলিশ স্টেশনের দিকে, চলল। সকাল বেলা যারা পথে বের হয়েছিল আমাকে ঐ প্রৌঢ় রাজকর্মচারীটির সংগে দেখে তারা অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিল। আমার মনে হল লোকটা নিশ্চয়ই অত্যন্ত নীচাশয়, নতুবা যে তাকে দেখছে সেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে কেন? আমি মনের ভাব গোপন না করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “দেখছেন কি, যে আপনাকে দেখছে সে-ই ত মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে? আপনার প্রতি এ বিরাগের কারণ কি বলুন তো?”

 উত্তর হল, এসব কারণ এখন বলা হবে না, তোমাকে একবার পুলিশ স্টেশনে হাজির করি, তারপর অন্য সময় এসব কথা হবে।

 লক্ষ্য করলাম, লোকটির কথাবার্তায় ক্রমেই শিষ্টাচার লোপ পাচ্ছে।

 পুলিশ অফিসারের অফিস শহরের একটু বাইরে। বাড়িখানা একতাল মেটে ঘর। বর্তমান সভ্যতার ছাপ তাতে একটুও পড়েনি। বাড়ির বাইরে একটিও লোক ছিল না। এখানেও দরজায় গিয়ে কড়া নাড়তে হল। কড়া