পথে মাংসের, মাছের এবং সব্জির বাজার দেখে গেলাম। ইচ্ছা, পরে এসে কিছু সব্জি কিনে নিয়ে যাব। কতকগুলি মাংসের দোকানে দেখলাম ইহুদিরাই শুধু মাংস কিনছে, হিন্দু অথবা মুসলমান সেখানে যাচ্ছে না। পূজারীর ছেলে বলল, “এখানে ইহুদিদের জন্য পৃথক কসাইখানা আছে। ইহুদিরা মুসলমানদের জবাই করা জীবের মাংস খায় না। ইহুদিদের জীবহত্যার পদ্ধতি মুসলমানদের মত নয়, তার শুধু কণ্ঠনালিটাই কাটে, মুসলমানরা তা না করে গলার দুদিকের দুটা রগ পর্যন্ত কেটে দেয়।” দু’রকমের কশাইখানা দেখে মনে হল ইচ্ছা করলেই এখানে আচার ব্যবহারের পার্থক্য বজায় রাখতে পারা যায়। উভয়ে স্নানাগারের কাছে এলাম। পূজারীর বড় ছেলে আমাকে স্নানাগারের দরজার কাছে রেখেই নিকটস্থ একটি হিন্দু দোকানে গা-ঢাকা দিয়ে বসে রইল।
স্নানাগারে প্রবেশ করেই স্নানাগার-রক্ষককে ডেকে জিজ্ঞাসা করলাম “মাথার টুপিটা কোথায় রাখা যায়?” সে কাছেই একটা খুঁটি দেখিয়ে দিল। সেখানে কোট, টুপি, মাফলার ইত্যাদি রেখে স্নানাগারের দিকে যাচ্ছি এমন সময় দারোয়ান বললে “আপ মুসলমান হায়?”
আমি বললাম “নেহি। সাবুন কিদার হায়, টাওয়েল কিদার হায়? তুম্ বহুত বুদ্ধু আদমি হ্যায়, মুসলমানিসে তোমরা কিয়া জরুরত?”
—হুজুর কুছ নেই, আবি সব চিজ্, লে আতাহে।
—জলদি লে আও।
সাবান এবং টাওয়েল বাথরুমে রেখে দিয়ে বয় সেলাম ঠুকে বললে “সব ঠিক হ্যায়।”
স্নানাগারে প্রায় ঘণ্টা খানেক ছিলাম। স্নান করে যখন স্নানাগার হতে বের হলাম তখন আমি নতুন মানুষ। কাপড়-পরে স্নানাগারের ফি এক কাবুলি দারোয়ানের হাতে দিয়ে আর এক কাবুলি তাকে বকশিস দিলাম এবং বললাম “ফের তিন রোজ বাদ আসব। হাম মুসলমান নেই, হিন্দুস্থানকা