পাতা:আফগানিস্থান ভ্রমণ.djvu/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



লক্ষ্মীর কথা

 পরদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ইচ্ছা হল একবার স্থানীয় সব্জি মণ্ডি দেখে আসি। উদ্দেশ্য সেখানে মাছ কি দরে বিক্রি হয় তা দেখব। যদি মাছ কিনতে পাই তবে কোন পাঠানের দোকানে নিয়ে তা’ ভেজে দিতে বলব এবং আরাম করে খাব। মাছ ভাজা খাবার প্রবল ইচ্ছাই আমাকে সব্জি মণ্ডির দিকে টেনে নিয়ে গেল।

 সব্জি মণ্ডির বাইরে একস্থানে জন কতক লোক কতকগুলি মাছ বিক্রি করছিল। মাছগুলি দেখতে বড়ই কুৎসিত। তখন সমাজতত্বের কথা ভাবছি। কিন্তু তা সত্বেও কি কারণে বলতে পারি না। আপনা হতেই মুখ দিয়ে গুণ গুণ স্বরে একটি গানের কলি বের হয়ে এল। সেটি হল 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।' হঠাৎ নজরে পড়ল, অদুরে বোরখা পরিহিত একজন নারী চলতে চলতে থমকে দাঁড়ালেন। সেখান হতে তিনি ইসারায় আমাকে ডাকলেন। আমি নিকটে গেলে বোরাখার ভেতর হতেই তিনি পরিষ্কার বাংলা ভাষায় আমার পরিচয় জিজ্ঞাসা করলেন। আফগানিস্থানে কাবুল শহরের বুকে পরিষ্কার বাঙলাভাষায় একটি নারীকে কথা বলতে দেখে আশ্চর্যান্বিত হলাম। তাঁর কথা শুনে তাঁকে বাঙালী ভদ্রঘরের মেয়ে বলেই মনে হল। তিনি আমাকে যতগুলি কথা জিজ্ঞাসা করেছিলেন তার সকল কথারই উত্তর দিলাম। আমার কথা শুনে তিনি ক্ষণকাল চুপ করে রইলেন, তারপর বলেলন তিনিও বাঙালী। কাবুলের মত স্থানে একজন বাঙালীর সংগে সাক্ষাৎ হওয়ায় সুখী হয়েছেন। ঘটনাচক্রে কাবুলেই তিনি বাস করেন। বাড়িতে তাঁর স্বামী এবং ছেলেমেয়ে রয়েছেন। আমাকে তিনি তাঁরই সংগে তাঁর বাড়ীতে যেতে বললেন। আফগানিস্থানে অনাত্মীয় স্ত্রীলোকের পেছনে চলা বড়ই অন্যায় কাজ। আমার মনে কোন