পাতা:আবদুল আলী গারুলী ও নিবারন সুন্দরীর পুথি - মুন্সী মোহাম্মদ ইউনুছ.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কইনা মোরে সাপ কাটা রুগি এই কহিল তারে ॥ একথা হীরালাল বাবু বিশ্বাস না করে * সাপ কাটা লাশ হইলে, হাত পাঙ কেন ভাঙ্গিলে, সত্য কৈরে কও, অনাহুক কথা কেন কহিয়া বাড়াও ৷৷ পট ভাবে কথা বৈলে সন্মান নিয়ে যাও দেখ চিনা বেত দিয়া, ফাটাইয়া দিব টিয়া, বুঝিবে পাছে, স্বামী মেইরে বলছে মাগি সৰ্পে-কাটাইছে ৷ এসব কথা, নাহি খাটে পুলিশের কাছে এত শুনি নিবারণে, ভয় পেয়ে মনে, বুদ্ধি কৈল সার, দশ টাকা গোপনে দিল হাতে দারগার ॥ ঘুম পেয়ে হীরালালে কহিল সভার * নিবারনের জবান বন্দি, শুনি সব কথার সন্ধি, চলে ঘটনার স্থান, তদন্ত করিয়া পরে আসে ভূরমান। উপরে লিখিয়া দিল সর্পে কাটা মরণ * উভয়ের বিলাপ । চিতং মিল * সেথা হইতে নিবারনে, পতি লয়ে নিজ স্থানে, কেন্দে যায়, উচ্চস্বরে ধরি কান্দে শ্বাশুড়ীর গলায় ৷ হেলায় হারাই নু আমি পতি স্বামীরায় * আবদুল আলীর মায়ে বলে, কেন বিধি দেখা- ইলে, পুত্রের চন্দ্র মুখ, পাষাণে মারিয়া মাথা ফাটাইলে বুক, কোথায় চৈত্ৰাছ বাচ৷ আমায় দিয়ে দূঃখ, এক পুত্র ছিল৷ ভূমি, রূপে গুণে মহানামী, দুঃখিনীর ধন, বিদেশে আশিয়া বাছার হইল মরণ ৷৷ এত শুনি কান্দে যত নৌকার মহাজন * বধু শ্বাশুড়ী কান্দে, কেশ বেশ নাহি বান্দে, করে হায়। আহা বিধি, কিবা দুঃখ খটাইলে আমায় ৷ কি দোষে শ্বাশুড়ীগো আমার নছিব টইলে যায় * এই মতে বিলাপিয়া সর্পের পাতিল হাতে লৈয়া, কহিল বচন, আমার পতিকে সর্প কৈরাছ ডংশন ৷৷ দেখ পতির দাদ তোমায় করিব সোধন * শুন কহি ওরে পাপ, তব চেয়ে বড় সাপ, নিজ গুণেতে দর্প চূর্ণ করি লাখি মারি মুণ্ডেতে ৷ সেই জনের স্বামী মারা যায় তোর হাতে * শত পঞ্চ ভাবে তাহা, হিসাবেতে হয় যাহা, তোমার মুখেতে, উঠাইয়া নিব আমি নিজ গুনেতে ৷৷ খণ্ড। তোমার মুণ্ড কৈরব পরেতে * এমত বড়াই কৈরে কহে কথা সে সর্পেরে, একে নাহি ভার, অধিন বলয়ে গুণ না লাগিবে আর ৷ আরশে থাকিয়া আল্লা হইল বেজার * নিবারনে বলে সৰ্প, কোথায়বে তোর মহাদর্শ, রহিল এখন ৷ একা পতিকে পাই, করেছ দংশন * মন্ত্র ফুকি করে অঙ্গে দিল নিবারন, তখনে যাইয়৷ কড়ি, আবদুল আলী