পাতা:আবদুল আলী গারুলী ও নিবারন সুন্দরীর পুথি - মুন্সী মোহাম্মদ ইউনুছ.pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(2) কেচ্ছা-আরম্ভ । ধুঁয়৷—শুন সাধু ভাই ॥ আবদুল আলীর গুণের সীমা নাই অ প্রভুর নাম আরাধিয়া, রছুলের নাম মনে লিয়া, আবদুল আলীর গান লৈয়া চৈস্লাম দুটি ভাই ৷ আবদুল আলী, নাম খাটি, বাড়ী ছিলা ঝালপা কাটি, রূপে গুণে পরিপাটি, সমান কেহ নাই বয়েস যখন বৎসর কুড়ি, হাওয়া খায় অর্শে চড়ি, বরিশাল জিলাতে গেল তামাস -চাইবার লাই ৷৷ সেথা যাই কিবা করে, সহর ঘুরিয়া ফিরে, আচম্বিতে ঘাড়ওয়ালের এক দলে পড়ে যাই পাহারুরা ঘাড়ওয়াল তারা, নিত্য কর্ম্ম সর্প ধরা, শত শত সর্প রাইখেছে খাচাতে আটকাই ৷ দাড়াই আইলা চক্ৰপোড়া, দুধরাজ তিলইক্কা বড়া, পানক শঙ্কনী কত লেখা জোখা নাই ঘাড়ওয়ালের এক মেয়ে ছিল, বয়স পনর ষোল, আর্শি চেয়ে চুল ঝাড়ে চিরুণী লাগাই ৷৷ যেয়ছা মেয়ের মুখের ছটা, নারাঙ্গি হৃদের গোটা, হুর পরী মোহ যায় থাকুক গোসাই * কপালে তিলকে ফোঁটা জানু শোম কেশের জোটা, আকুমার আছে ক্যা বিবাহ হয় 2 নাই৷ মায়ের দুর্লভ ধন, নাম রাখে নিবারণ, আচম্বিতে আবদুল আলীর নজর পড়ে যাই নিবারণকে চক্ষে দেখি, পলক না মারে আখি, প্রেম বান হৃদে আসি বিন্দিলেক সাই ॥ আবদুল আলী যেই স্থানে, নজর করে নিবারণে, দুই জনের দৃষ্টির প্রেম চক্ষের আসনাই দু-জন দুইখানে রহে, ছটফট অঙ্গ দহে, ভঙ্গ প্রেমে কদা- চিত রঙ্গ লাগে নাই ৷ কহে কবি হীন মতি, চৌপদীতে দিতে ইতি, আবদুল আলীর বিবাহ কথা পয়ারে জানাই পরার এইখানে আবদুল আলী ভাবে মনেং কি রূপে মিলন হবে নিবারণের সনে ভাবিয়া চিন্তিয়া এক বুদ্ধি করে সার ৷ সর্পের কুংলী বিনা নাদেখি বিস্তার তামাম দিবস ভরি খাড়া ছিলু এথা ৷ একজন' ঘাড়ওয়ালের নাহি পাই কথা শত জন মধ্যে এক নাহি পুছে বাত৷ কেমনে করিব প্রেম নিবারণের সাত এবলিয়া প্ৰভু নাম স্মরণ করিয়৷৷৷ সর্প সব বদ্ধ করে কুণ্ডলী ফুকিয়া সে সময় দিনমনি লুকায় অন্তরে॥ রাত্রি ভর রহে আবদুল দোকানীর ঘরে প্রভাতে ঘাড়ওয়াল সব করে কোন কাম ৷৷ সৰ্প জুড়ি কান্দে লিয়৷ চলিল গেরাম সপ্ন নাচ বায়ান৷ যাব যেইখানে হৈল ৷৷ ঝুড়ি হইতে সপ নিকলিতে না করিল * সরম পাইয়া সবে আসিল ফিরিয়া ৷ সবে মিলে করে যুক্তি