পাতা:আবদুল আলী গারুলী ও নিবারন সুন্দরীর পুথি - মুন্সী মোহাম্মদ ইউনুছ.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8 ) তাকাইয়৷৷৷ হেনকালে আসিয়া পৌছিল প্রাণ প্রিয়া * দোহাকার রূপে দোহে আছিল মগন ৷ নিমিষে হইয়া গেল প্রিয়ার দর্শন মধু পানে উন্মত্ত আছিল তার মন ॥ তার দ্বিগুণ বৃদ্ধি ছিল নিবারণ শুইল - পার্লঙ্গে যাই কন্য৷ কোলে করি ৷ কানাই’পাইল যেন রাধিকা সুন্দরী * -ছয়ফল মুল্লুক যেন পাইল লাল মতি॥ রত্ন হেন পরে যেন স কয়া পদ্মাবতী সেই মত আবদুল আলী পায় নিবারণ । খুসিতে ভুসিতে হইয়ে তুষ্ট হইল মন * এইমতে দুইমাস গত হইয়ে গেল ৷ আবদুল আলী নিবারন কহিতে লাগিল কহিয়া বলিয়া দোহে বিদায় হইল ৷ আবদুল আলী নিবারন দেশেতে পৌছিল * আবদুল আলীর মায়ে যদি পাইল খবর ॥ পুত্র বধু দেখে বুড়ি খোঁসাল অন্তর তুষ্ট হইয়ে পুত্র বধু তুলি লৈল কোলে ॥ লক্ষং চুম্ব দিল শ্রীকণ্ঠ কপালে পুত্র বধু লয়ে বুড়ি খোসালে রহিল ৷৷ এই রূপে এক মাল গুজারিয়া গেল চিতং মিল সর্পের গান আরম্ভ । আবদুল আলী নিবারন, খুসি খোসালিতে দোন থাকে হামেহাল, দেখনা বিধিয়ে কিবা ঘটায় জঞ্জাল ৷৷ শুন যত গুণীগণ করিয়ে খেয়াল একদিন নিবারনে, শুয়ে ছিল তুষ্ট মনে, বিছানার উপর ৷৷ স্বপনেতে দেখে এক সর্প অজাগর কহিতে লাগিল সৰ্প নিবারন গোচর নিবারণ তোমাকে বলি, তোমার পতি আবদুল আলী, জানে সর্প ধরিতে, পাটুয়া খালি দক্ষিণ মুখি থাকি ঘাড়াতে দৌল্লা একটা পাঠা, নিবে আমায় ধরিতে এমন স্বপন দেখে, নিবা- রন শুয়ে সয্যাতে, চমকি উঠয় আচম্বিতে, দেখে আবদুল বলে হায়রে হায় ৷৷ কি জন্যেতে প্রিয়স্বিনী কাপে সৰ্ব্ব গায় শান্ত হয়ে নিবারনে কহে স্নাবদুলের স্থানে। শুন দিয়া মন, যেইমতে আসি সৰ্পে দেখাইল স্বপন, একে। আদি অন্ত কহে নিবারনে এত শুনি আবদুল আলী, প্রভুর নাম নাহি বলি, দর্প করে কয়, পাঠা বলি চাহে সেই কোন সপ হয় ৷৷ পাঠা নাদি ধরব সপ তাতে কিবা হয় দাড়ি মাঝি ডাকি তখন বলে নৌকা কর- সাজন, যাব সর্প ধরিতে, অধিন বলয় তোমার মৃত্যু নিকটে ৷৷ প্ৰভু নাম পাশরিলা মরনের পথে --