পাতা:আবদুল আলী গারুলী ও নিবারন সুন্দরীর পুথি - মুন্সী মোহাম্মদ ইউনুছ.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 5 ) আবদুলের মায়ের বিলাপ । ধয়–বাছারে তোরে, মায়ে নিষেধ করে ৷৷ আবদুলেরে যেওনা দুঃখিনীর বাছা, তোরে মায়ে নিষেধ করে সর্প ধরিতে যায়রে আবদুল চড়িয়া নৌকায় ৷ পাষাণ হৃদে মারি কান্দে আবদুল আলীর মায় যেইওনাং বাছা সৰ্প ধরিবার ৷৷ ছটফটা করে যেন কলিজা আমার * এক মায়ের এক পুত্র নির্দ্বনীর ধন ॥ তোমায় ছাড়িয়া মায়ে ত্যজিব জীবন বারেং যাওরে নিমাই নাহি করি মানা ৷৷ আজি কেন মায়ের মনে প্রবোধ মানে না নাহি যাও বাছা ধন মায়ের কথা শুনি ৷৷ আজিকার মহিম ক্ষেন্ত কর যাদুমনি এইমত কাম্পিং বুঝায় তার মায়ে৷ কিছুতেই না মানিল মায়ের কথায়ে চিতং মিল তেরশ পনর সনে, মাঘ মাসে আট দিনে, বরিশাল জিলায়, বরিশালের অন্তর্গতে ঘটনা উদয় ৷৷ কহিতে সেসব কথা প্রাণে নাহি শয় * সে-সব কথা বলিতে, বাসনা হইল মনেতে; শুনেন সৰ্ব্ব জন, কর্ণ লাগাইয়া শুনেন সে-সব কথন ৷ কিরূপে সে আবদুল আলী হইতেছে মরন বাড়ী ছিল ঝাল পা কাটি, রূপে গুণে পরিপাটি, এক বিবি ছিল তার, সতর খানি নৌকা ছিল তার আজ্ঞা কার । সর্প ধরা বিনে তারগে৷ না ছিল কারবার মাঘ মাসের আট রোজেতে, লোক জন লইয়ে সাথে সর্প ধরিতে, সতর খানি নৌকা লই গেল পাটুয়া খালিতে ৷৷ লোকজন রাখি আবদুল উঠিল কুলেতে জননী ও নিবা- রণে, দাড়ি মাঝি সজনে রাখিয়া নৌকায়, একেলা চলিল আবদুল সে সৰ্প যথায়। সর্পের ঘাড়া দেইখে পরে নিরক্ষিয়ে চায় কোথায়রে, ডাকচ্ছ সর্প, করিয়া মহা দর্প, এখন রহিলে কোথায় ৷ ছত্রিশ রাগিনী আবদুল বাণীতে ফুকয় ৷৷ সুনিয়া সে বাণীর সুর, সর্পে অঙ্গরে ফুলায় সৰ্প উঠা মন্ত্র ফুকে বাণীর ভিতর ৷ ঘাড়ার সন্মুখে আবদুল কহে বারেবার আগে তুমি নিবারনকে দেখাইছ স্বপন ॥ আমায় দেখিয়া কেনে রহিলে গোপন দৌলা পাঠা আনিয়াছি তোমার লাগিয়া ৷৷ খাড়া হইতে উইঠে একধার যাও দেখা দিয়া- শীঘ্র আস ঘাড়৷ হইতে না করিও ভয় ॥ না উঠিলে ঘাড়া খুদি ধরিব নিশ্চয় একেত ছিরের বাত আর বিনার সুর । শুনি উঠে মহা সাপ মৃত্তিকা করি চুর কবি বলে আবদুলেরে বিধি হৈল বাম ৷৷ ঘাড়া হইতে অঙ্গ ফুলাই উঠে সঙ্কুরাম * পয়ার =