পাতা:আবদুল আলী গারুলী ও নিবারন সুন্দরীর পুথি - মুন্সী মোহাম্মদ ইউনুছ.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

T ( 5 ) চিত্ৰং মিল৷ কোম্পানীর ইঞ্জিলের কলে, বল টিপিলে ধুয়া চলে সোং শব্দ ভয়ঙ্কর, সেইমত উঠে সর্প করি চূর্ণকার। শুনিয়া সে শব্দ আবদুল কাঁপে থরং * হু হুঙ্কার করি সর্পে, মাথা ভুলে 'মহা দর্পে, চক্ষু মেলি চায়, এক মুটি ধলা মারে সে সর্পের মাথায়, ॥ নাহি মানে ধলা পড়া অমনি সে পেচায় পেচাপেচি বিষম পেচি, হাড় মাংশ লিল খেচি, আবদুল বলে হায়রে হায়, কোথা রৈলে মা জননী সর্পে মোরে খায় ৷৷ কোথা রৈল নিবারন এসনা ত্বরায় সোয়া হাত সৰ্প ছিল, পাচল্লিশ হাত হইয়া গেল, নামে শঙ্করাম সতর জোড়া বাশের সঙ্গে অমনি পেচায় ৷ ডলকেও রক্ত পড়ে সে বাশের গোড়ায় b = আবদুল আলীর ংিলাপ ৷ পয়ার আহারে পাপিষ্ট সর্প দুষ্ট দুরাচার ॥ বধূ সঙ্গে দর্প করি হইলাম সংহার * নিবারনের সঙ্গে কত করিলাম জেদ ৷ মরন কালে না শুনিলাম মায়ের নিষেধ ঞ্জ কৈয়রে পবন যাই জন্মনীর কাছে ৷ তো- মার পুত্র আবদুল আলী সর্পে ধরিয়াছে কোথায় রৈল ইষ্ট মিত্র কোথায় বন্ধুগণ ৷৷ কোথায় রৈল সতর খানি নৌকার মহাজন কোথায় রৈল দাড়িমাঝি কোথা লোক জন ৷৷ নিদানে পাইয়া সৰ্পে বধিল জীবন সিমাল ধতি জরীর টুপি কোথায় চেকন ৷ কোথায় হৈল অঙ্গের ভূষন কোথায় নিবারন মনেতে আসঙ্কা করি মোরে খাইবার ৷৷ এখন যদি নির্ধারন পায় সমাচার কখন খাইতে না পারিবে কদাচন ৷৷ এতবলি আবদুল আলী জুড়িল কান্দন নছিবেতে ছিল সর্পের ডংশেতে মরণ হায়ং কোথায় রৈল গুণের নিবারন কৈয়রে পবন তোমার পুত্রের মরন ৷৷ তালাশ করিয়া তারে আনো এইক্ষণ । এইমতে বিলাপিয়া কহে প্ৰভুস্থান ৷৷ হেনকালে খবরুয়া আইল একজন চিত্রং মিল কাটাখালীর তমিজদ্দিন, তাঁর ভাই মফিজদ্দিন, সে রাশ কাটিতে যায়, এবং ফোটা রক্ত পড়ে তমিজদ্দিনের গায়৷ এহাল দেখে ধায় তমিজ সাপরিয়৷ যথায় আরও রক্ত বাশের গোড়ায়, দেখিয়া উপরে তাকায়, নজর করে চায়, সর্পের পেচে দেখে এক মানুষ তথায় ৷৷ পেচাইয়ে ধরছে সাপে বাশের আগায় দেখি সেই মহ৷ সাপে, তমিজুদ্দির অঙ্গ কাঁপে, ভয়েতে পালায়, নদীর কিনারে থাকে ডাকে সাপড়ায় ৷ সাপের মুখে একজন মানুষ মারা যায়, -সাপ্‌রোং তাই ডাকি, তোগো এক জন মানুষ নাকি, আজি সাপে ধরে