পাতা:আমতণ্ডূল নৈবেদ্য দিয়া বিষ্ণুপূজা হইতে পারে কি না এতদ্বিষয়ক বিচার.pdf/৭৯

[ ৬৬ ] দ্বার। পাক করে। অন্নের নৈবেদ্য ব্রাহ্মণ দ্বার। অৰ্পণ করিবেক এই ব্যবস্থা রঘুনন্দন নিজে স্থির করিয়া লিখিয়ছেন যথা, “ ইছাতে সিদ্ধান্ত এই, যেমন শূত্রের বৃষোৎসর্গ প্রভৃতি ক্রিয়স্থলে ব্রাহ্মণ দ্বার। পাক করা চৰ, দেবতা প্রভৃতিকে অর্পণ করা হয় সেইরূপ শূত্রও ব্রাহ্মণ দ্বার। পাক করা অম্লের নৈৰেছা দিতে পারেন স্ট এবং “ শূত্রের আমায়কে পক্ষপন্ন ও পকল্পকে উচ্ছিষ্ট বলে ” এই বচন অনুসারে শূত্রের পক্ষান্ন উচ্ছিষ্ট বলিয় নির্দিষ্ট হওয়া নিবন্ধন উছ দেওয়া যাইতে পারে না এই আশঙ্কণ রঘুনন্দন নিজে-উত্থাপন পূর্বক “ ঐ বচনকে স্বয়ম্পাক বিষয়ে ” স্থির করিয়া মীমাংসা করিয়াছেন অর্থাৎ শূদ্রের স্বয়ং পাক করা অল্পই উচ্ছিষ্টের মত ছেয়, আর শূত্রের অভিলাষ হইলে নিজ গৃছে নিজস্ব দ্রব্যসামগ্রী ব্রাহ্মণ দ্বারা পাক করাইয়। মৈবেছে দিতে এবং ব্রাহ্মণ প্রভৃতিকে ভোজন করাইতে পরিবেক । ইহাতে কোনও স্মার্ত্ত শিরোমণি বলেন যে রঘুনন্দনের “ ব্রাহ্মণ দ্বার। পক্রান্ন নৈবেদ্যাদি শূদ্রোইপি দাতুমহুতি’ এ সীমাংসায় পক্ষান্ন পদে কন্দুপক্ক ( জলোপসেক ব্যতিরেকে কড়া তাওয়া প্রভৃতি পাত্রে ভূষ্ট, চাউল ভাজ প্রভৃতি ) অর্থই সদর্থ। তাছাতে বক্তব্য এই যে রঘুনন্দনের মীমাংসায় “ ব্রাহ্মণ দ্বারা পাক কর৷ ” এই পর্যন্ত অনুধাবন করিয়া দেখিলে হার ঐ বাক্য অপসিদ্ধান্ত ও অনর্থ কর বলিয়। অগ্রাহ হয়, শূত্রের স্বয়ং পাক করা কন্দুপক্ষ প্রভৃতি দ্রব্য দানের ব্যবস্থাই আছে তাছাভে ব্রাহ্মণ দ্বারা কন্দু পঙ্ক করা পর্যন্ত বল নিরর্থক হয়। এবং জলোপসেক ব্যতিরেকে পদক অর্থবোধনে কোনও প্রশ্বাপ নাই অথচ উহার দৃষ্টাস্ত যে চৰুপাক তাহাতে জলোপস্েেকর বিধান আছে,দাষ্টশক্তিকেও স্থঙরাধ জলোপসেক সিদ্ধ হইতেছে। যেহেতু জলোপলেক ব্যক্তিরেকে শ্বস্ত্রকর্তৃক প্লক কর দ্রব্যের গ্রহণ ও ভোজন প্রভৃতিতে কোনও দোষ এবং শাস্ত্রে লিষেধ নাই। বরঞ্চ শাস্ত্রে শূত্রের কদুপক্কণম ভোজন ও দানের বিধান থাকায় “ ব্রাহ্মণ দ্বার। ”