পাতা:আমার কথা (প্রথম খণ্ড) - বিনোদিনী দাসী.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার কথা!
৪৭

স্বর্গীয় কবিবর সুরেন্দ্রনাথ মজুমদার বিরচিত “হামীর”! ইহার নায়িকার ভূমিকা আমার ছিল, কিন্তু তখন ন্যাশন্যালের দুর্নাম রটিয়াছে; অতি ধূমধামের সহিত সাজ সরঞ্জাম প্রস্তুত হইয়া অভিনয় হইলেও অধিক দর্শক আকর্ষিত হইল না। ভাল ভাল নাটক যাহা ছিল, সব পুরাতন হইয়া গিয়াছে, নূতন ভাল নাটকও পাওয়া যায় না। “মায়াতরু” নামে একখানি ক্ষুদ্র গীতিনাট্য গিরিশবাবু রচনা করিলেন। “পলাশীর যুদ্ধের” সহিত একত্রিত হইয়া এই গীতিনাট্য প্রথম অভিনীত হয়। দুই তিন রাত্রি অভিনয়ের পরেই এই ক্ষুদ্র নাটিকার যশে দর্শক আকর্ষিত হইয়া বাড়ী ভরিয়া যাইতে লাগিল। এই গীতিনাট্যে আমার “ফুলহাসির” ভূমিকা দেখিয়া “রিজ্ এণ্ড রায়তের” সম্পাদক স্বর্গীয় শম্ভুচন্দ্র মুখোপাধ্যায় মহাশয় লেখেন, “বিনোদিনী was simply charming” ক্রমে গিরিশবাবুর “মোহিনী প্রতিমা”, “আনন্দ রহো” দর্শক আকর্ষণ করিতে লাগিল। তারপর “রাবণ বধের” পর হইতে থিয়েটারে লোকের স্থান সঙ্কুলান হইত না। উপরের আসন সকল প্রতিবারই পূর্ণ হইয়া যাইত, যে সকল ধনবান ও পণ্ডিত ব্যক্তিরা ঘৃণা করিয়া থিয়েটারে আসিতেন না তাঁহাদের দ্বারাই দুই একদিন পূর্ব্বে টিকিট ক্রীত হইয়া অধিকৃত হইত। দিন দিন থিয়েটারের অদ্ভুত উন্নতি দেখিয়া একদিন সত্ত্বাধিকারী প্রতাপচাঁদ বলেন, “বিনোদ তিল