পাতা:আমার কথা (প্রথম খণ্ড) - বিনোদিনী দাসী.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৮
আমার কথা!

সমাত করন্তি।” তিল সমাত অর্থে যাদু! ক্রমে “সীতার বনবাস” প্রভৃতি নাটক চলিল। থিয়েটারের যশ চারিদিকে ছড়াইয়া পড়িল। সঙ্গে সঙ্গে অধিনীর খ্যাতিও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতে লাগিল।

 গিরিশবাবুর সহিত থিয়েটার করিতে আরম্ভ করিয়া বিডন স্ট্রীটের “স্টার থিয়েটার” শেষ হওয়া পর্যন্ত আমি তাঁহার সঙ্গে বরাবর কার্য্য করিয়া আসিয়াছি। কার্য্যক্ষেত্রে তিনি আমার শিক্ষক ছিলেন এবং আমি তাঁহার প্রথমা ও প্রধানা শিষ্যা ছিলাম। তাহার নাটকের প্রধান প্রধান স্ত্রী চরিত্র আমিই অভিনয় করিতাম। তিনিও অতি যত্নে আমায় শিক্ষা দিয়া তাঁহার কার্যোপযোগী করিয়া লইতেন।

 যে সময় কেদারবাবু থিয়েটার করেন, সেই সময়। সুপ্রসিদ্ধ অভিনেতা স্বর্গীয় অমৃতলাল মিত্র মহাশয় আসিয়া অভিনয় কার্যে যোগ দেন। গিরিশবাবুর মুখে শুনিয়া ছিলাম, যে অমৃত মিত্র আগে যাত্রার দলে এক‍্ট করিতেন। তাঁহার গলার সুন্দর সুর শুনিয়া তিনি প্রথমে থিয়েটারে লইয়া আসেন। উপরে উল্লেখ করিয়াছি, ইতিপূর্বে “মেঘনাদ বধ”, “বিষবৃক্ষ”, “সধবার একাদশী”, “মৃণালিনী”, “পলাশীর যুদ্ধ” ও নানা রকম বড় অথরের বই নাটকাকারে অভিনীত হইয়াছিল। “মেঘনাদ বধে” অমৃতলাল রাবণ সাজেন এবং আমি এখানেও