পাতা:আমার জীবন.djvu/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& eఆ আমার জীবন তুমি পরম ঈশ্বর, পীতাম্বর, পদ্মপলাশ-লোচন । ভব পরাভব, অনন্ত অশক্ত, তব লীলা গুণ বর্ণন ॥ তুমি বলিকে ছলিলে, তিন পদ দিয়া করিলে দান গ্রহণ। ভব পরাভব, অনন্ত অশক্ত, তৰ লীলা গুণ বর্ণন ॥ রাসমুন্দরী অতি অধম দুর্মতি, জানে ন৷ সাধন ভজন । ভব পরাভব, অনন্ত অশক্ত, তব লীলা গুণ বর্ণন ॥ আমায় করে না নিরাশ, ওহে প্রীনিবাস, দিতে হবে রাঙ্গী চরণ ॥ হে নাথ ভক্তবৎসল, তোমার নাম দয়াময়। এই দয়াময় নামটি ত্রিজগতে বিখ্যাত হইয়া আছে । এই রাসমুন্দরী হতভাগ্য নরাধমের জন্ত হে নাথ, তোমার এ পরম পবিত্র দয়াময় নামে যেন কলঙ্ক ন৷ হয়। তোমার চরণে আমি শত শত অপরাধে অপরাধী, হে দয়াময়, তুমি নিজগুণে সে অপরাধ মার্জনা করিয়া এ অধিনীর প্রতি সদয় হৃদয় দেখাইতেছ, পরে আমার কি করিবে তাহা তুমিই জান । ১২১৬ সালে আমার জন্ম হয়, এক্ষণে ১৩০৪ সালে আমার বয়ঃক্রম ৮৮ বৎসর । এতকাল ভারতবর্ষে বাস করিতেছি, কি কাজ করিয়া জীবনরত্ন ক্ষয় করিয়াছি ? হায়রে হায়, মনে করিলে হৃদয় বিদীর্ণ হয়। আমার মানব জন্ম বৃথা গেল, পশু-পক্ষী জীব-জন্তু ইত্যাদি সকলেই উদর পূর্ণ করিয়া থাকে, অনাহারে কেহ থাকে না । ইতিমধ্যে কোন পাখীর যদি সাধুসঙ্গ মিলে, তবে সেই পাখীর মুখে রাধাকৃষ্ণ নামটি উচ্চারণ হয় । আমি হতভাগা, আমার ভাগ্যে সাধুদৰ্শন হইল না। সপ্তম রচনা দেখতে এসে ভবের মেলা দেখি সব মেলা মেলা, মনোহারী দোকান মেলা । নানা যত্ন অলঙ্কারে, রাখিয়াছে ধরে ধরে, সাজাইয়া রংমহলা । আয়না চিরুণ মতির মালা, দোকান করেছে আলী, কাই দেখে ভুললে নয়ন ভোলা ।