পাতা:আমার জীবন.djvu/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• أو বলার না; তাৎ ঈশ্বরের স্মারক চিহ্ন মাত্র। তাতে পৌত্তলিকতার সঙ্কীর্ণ ভাৰ নাই। খৃষ্টানের হিন্দুকে যে ভাবে পৌত্তলিক বলিয়া অবজ্ঞা করেন, হিনূর পৌত্তলিকতা সে ভাবের নহে। লেখিকার জননী লেখিকাকে ঈশ্বর সম্বন্ধে যে উপদেশ দিয়াছেন, তাহা হইতেই এই কথা প্রতিপন্ন হইবে : “আমি তখন মাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, মা ! দয়ামাধব দালানে থাকিয়া কেমন করিয়া আমাদের কারা শুনিলেন ? মা বলিলেন, তিনি পরমেশ্বর, তিনি সর্ব্বস্থানেই আছেন, এজন্ত শুনিতে পান । তিনি সকলের কথাই শুনেন। সেই পরমেশ্বর আমাদের সকলকে স্বষ্টি করিয়াছেন। র্তাহাকে যে যেখানে থাকিয়া ডাকে, তাহাই তিনি শুনেন। বড় করিয়া ডাকিলেও তিনি শুনেন, ছোট করিয়া ডাকিলেও তিনি শুনেন, মনে মনে ডাকিলেও শুনিয়া থাকেন ; এজন্ত তিনি মানুষ নহেন, পরমেশ্বর। তখন আমি বলিলাম, মা ! সকল লোক যে পরমেশ্বর, পরমেশ্বর বলে, সেই পরমেশ্বর কি আমাদের ? মা বলিলেন, এই এক পরমেশ্বর সকলের, সকল লোকই তাকে ডাকে, তিনিই আদিকর্ত্ত । এই পৃথিবীতে যত বস্তু আছে, তিনি সকল স্বষ্টি করিয়াছেন, তিনি সকলকেই ভালবাসেন, তিনি সকলেরই পরমেশ্বর ” ইহা অপেক্ষা উন্নততর ঈশ্বরের কল্পনা আর কি হইতে পারে ? এই গ্রন্থখানি প্রত্যেক গৃহস্থের ঘরে রাখা আবশুক ; এমন উপাদেয় গ্রন্থ অতি অল্পই আছে। বালীগঞ্জ २० छा? শ্রীজ্যোতিরিন্দ্র নাথ ঠাকুর