পাতা:আমার জীবন.djvu/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

é আমার জীবন মনের যে ভাব দেখি আশ্চর্য কেমন । চাদ ধরিবারে ধায় হইয়া বামন ॥ আমার মন যেন তখন ষড়ভুজ হইল। দুই হাতে ঐ সংসারের সমুদায় কাজ করিতে চাহে ; যেন বাল বৃদ্ধ কেহ কোনমতে অসন্তুষ্ট না হন । আর হুই হাতে ঐ কয়েকটি ছেলে সাপটিয়ে বুকের মধ্যে রাথিতে চাহে । অন্য দুই হস্তে আমার মন যেন চাঁদ ধরিতে চাহে । আহা কি আশ্চর্য ! মনের ভাব-ভঙ্গী দেখিয়। আমার মুখে আর বাক্য সরে না । দেখ! লক্ষযোজন উর্ধ্বে চন্দ্র রহিয়াছে ; সেই চন্দ্র কি কথন কেই হস্তে ধারণ করিতে পারিয়াছে, কখনই নহে । কেবল নিরর্থক বাসনা মাত্রই সার। যেমন ছেলেপিলে চন্দ্র দেখিয়া ধরিতে চাহে এবং ঐ চন্দ্র পাড়িয়া দাও বলিয়া ক্রন্দন করে, তখন “আয় আয় চাদ, আমার চাদের কপালে চিক্‌ দিয়ে যা" এই বলিয়া ছেলেপিলেকে ভুলাইয়া রাখা হইয়া থাকে । আমার মনকেও তখন সেই প্রকার ছেলে ভুলানর মত প্রবোধ দিতে হইল। আমার মন তখন সংকীর্তন ও পুরাণাদি শ্রবণের জন্য নিতান্ত ব্যাকুল হইল ; তাহা কোথা শুনিব ? আমাদের বাটতে পুরাণ সংকীর্তন আদি যাহা কিছু হয়, তাহ বাহির আঙ্গিনাতেই হয়, তাহ বাটীর মধ্য হইতে শুনা যায় না ; বাহিরের আঙ্গিনা অনেকখানি তফাৎ, আমিও বাটীর মধ্য হইতে আঙ্গিনার বাহিরে যাই না, কি প্রকারে শুনিব ? আমার মন তাহা কোনমতেই মানে না, মন নিতান্তই বলে আমি পুরাণ শুনিব । আমি পুস্তক যে একটু একটু পড়িতে পারি, তাহাও পড়িবার সময় পাই না । বিশেষ কেহ দেখিয়া কি বলিবে, এই ভয় অতিশয় হয় । মনও কোন মতে বুঝে না, ভাবিয়াও উপায় দেখি না । কি করিব, মনে মনে এক উপায় স্থির করিলাম । আমার ননদ তিনটি আছেন, র্তাহারা যদি আমাকে পুথি পড়িতে দেখেন, তবে আর রক্ষাও নাই। র্তাহাদিগের যে সময়ে আহ্নিক পূজা আহারাদি হর, ঐ সময় আমি পুথি পড়িব । এই বলিয়া আমার মনকে স্থির করিলাম। পরে আমার নিকট যে সকল প্রতিবাসিনী সতত থাকিতেন, তাহাদিগকে