পাতা:আমার জীবন.djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अभिांब्र खैौरान శ్రీకు করিতে সমর্থ হইলাম। আমি মনের মধ্যে এই কথাটি ভাবিলে আমার মনে ভারি আশ্চর্য বোধ হয় । যখন আমি লেখাপড়া কিছু জানি না, তখন আমি যে আবার পুস্তক পড়িতে পারিব ইহা অতি আশ্চর্য ব্যাপার বাস্তবিক এমন অবস্থায় লেখাপড়া শিক্ষণ করা— :কবল সেই জগৎপিতার বাঞ্ছাকল্পতরু নামের মহিমা মাত্র ; তাহা ভালই হউক আর মন্দই হউক, পরমেশ্বর আমার তো বাঞ্ছা পূর্ণ করিয়াছেন ! আমার মন যেমন পুস্তক পড়ার জন্য ব্যস্ত হইয়াছিল, তমনি পুস্তক পড়িয়া পরিতুষ্ট হইয়াছে। ঐ বাটতে যে কিছু পুস্তক ছিল, ক্রমে ক্রমে আমি সকল পড়িলাম। চৈতন্যভাগবত, চৈতন্যচরিতামৃত আঠারপর্ব, জৈমিনিভারত, গোবিন্দলীলামৃত, বিদগ্ধমাধব, .প্রমভক্তিচন্দ্রিক, বাল্মীকি-পুরাণ–এই সকল পুস্তক ঐ বাটতে ছিল । কিন্তু বাল্মীকি-পুরাণের আদিকাণ্ড মাত্র ছিল, সপ্তকাগু ছিল না । পরমেশ্বর মনুষ্য জাতির মনের ভাব এই প্রকার করিয়াছেন যে, যে কোন বিষয় হউক না কেন, যদি তাহার যৎকিঞ্চিৎ মাত্র পায়, তাহা হইলে সেটি সম্পূর্ণ পাইতে ইচ্ছা করে ; সেটি মনের স্বভাবসিদ্ধ সংস্কার। ঐ বাল্মীকি-পুরাণের আদিকাণ্ড পড়িয়া সপ্তকাণ্ড পড়িবার জন্ম নিতান্ত আগ্রহ জন্মিল, কিন্তু ঘরে ছিল না । সে ত পল্লীগ্রাম, অনেক চেষ্টা করিয়া দেখিলাম, গ্রামের মধ্যে পাওয়া গেল না । আমার মনও কোনমতে মানে না, কি করিব, ভাবিতে লাগিলাম । তখন আমার দ্বারকানাথ নামে পঞ্চম পুত্র কলিকাতার কলেজে পড়িত। আমি তো লিখিতে জানি না, যদি আমি তাহাকে পত্র লিখিতে পারিতাম, তাহা হইলে এত চিন্তার কারণ ছিল না । আমি যে পুস্তক পড়িতে পারি, এ কথাটি তখন প্রায় সকল লোকেই জানিতে পারিয়াছিল আমি পুস্তক পড়িবার জন্য যে প্রকার কষ্ট পাইয়াছিলাম, তাহা সকলে জানিতেন না । পরে সকলে শুনিয়া আমার প্রতি ভারি সন্তুষ্ট হইলেন, আমি ইহা বড় ভাগ্যের কথা বলিয়া মানিয়াছি । আমি পূর্বে অতিশয় ভয় করিতাম, কিন্তু পরে দেখিলাম ষে এ বিষয়ে আমার প্রতি কেহ অসপ্তষ্ট হন নাই, বরং আরও ভালই বলিতেন । সে যাহা