আমার দেখা রাশিয়া
হিটলারের ঝটিকাবাহিনী শহরে প্রবেশ করেছে, নির্মম নিষ্ঠুর সংগ্রাম। ৩০শে সেপ্টেম্বর হিটলার ঘোষণা করলেন, “আমাদের জয় সম্পূর্ণ হয়ে এল। আমরা স্তালিনগ্রাদ আক্রমণ করেছি, তোমরা নিশ্চিন্ত থাক, স্তালিনগ্রাদ আমরা দখল করবোই।” পৃথিবীর ইতিহাসে এমন যুদ্ধ হয় নি। ধ্বংসের মহাশ্মশানে পরিণত নগরীর প্রতি গৃহে প্রতি পথে আধুনিক মারণাস্ত্রের সংঘাত, চারদিকে ভগ্ন কামান বিমান শেলের আবরণী, রাইফেল এবং অগণিত মৃতদেহ ছড়িয়ে আছে। জয়াশাহীন জার্মানরা হত্যা ও ধ্বংসের উৎসবে মেতেছে, এমন সময় ৮ই জানুয়ারী সোবিয়েত সেনাপতি চরমপত্র দিলেন, তোমাদের জয় বা পলায়নের কোন ভরসা নেই, অনর্থক রক্তপাত থেকে নিবৃত্ত হয়ে আত্মসমর্পণ কর। এই উদার প্রস্তাব জার্মান সেনাপতি অগ্রাহ্য করলেন। কিন্তু ক্রুদ্ধ আহত সিংহের মত লালপল্টনের আক্রমণের সম্মুখে নাৎসী বাহিনী দাঁড়াতে পারলো না। সাত মাস অবরোধের পর ৬০ ডিভিসন শত্রু সৈন্যকে উৎসাদিত করে মার্শাল জুকভ স্তালিনগ্রাদ অধিকার করলেন। এবং মার্শাল ফন পাউলুস ২৪ জন জেনারেল, ২৫০০ অফিসার এবং ২০ হাজার সৈন্যসহ আত্মসমর্পণ করলেন। ১৯৪৩ এর ৫ই ফেব্রুয়ারী বিধ্বস্ত মহানগরী স্তালিনগ্রাদে নাৎসী বিজয় অভিযানের সমাধি রচিত হ’ল।
জারিৎসিন ও স্তালিনগ্রাদের দুই-দুইবার অকুতোভয় শৌর্যে শত্রু পরাভবের নিদর্শনগুলি একটি ম্যুজিয়মে সযত্নে রক্ষিত হয়েছে। শত্রুর হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়া কামান বন্দুক তরবারী, লেনিনের
৯৪