আমার দেখা রাশিয়া
লেখা চিঠি, স্তালিনের উত্তর, অনেক দলিল, ছবি দেখতে দেখতে আমরা একটি কক্ষে উপস্থিত হলাম। এখানে নাৎসী বিজয়ী স্তালিনগ্রাদ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে যেসব অভিনন্দন ও উপহার পেয়েছে তা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। বৃটিশরাজ ষষ্ঠ জর্জের তরবারী রুজভেল্টের স্বর্ণখচিত অভিনন্দনপত্র। নাৎসী দাসত্বের নিগঢ় থেকে শুধু নিজেদের নয়, পৃথিবীকে মুক্ত করলো যারা, তারা দেশ দেশান্তর থেকে কত উপহার কত অভিনন্দন পেয়েছে। আমার মাতৃভূমি ভারত কোথায়? দেখলাম ভারতের উপহার একমাত্র ছাত্র ফেডারেশানের দিল্লী শাখা থেকে দেওয়া একখানি বেনারসী শাড়ী ও নেকলেস। আমার ভাগ্য ভাল, বাঙ্গলা ছাত্র ফেডারেশানের উপহার নয়। আমরা শাড়ী, চুড়ী বা হার কাপুরুষদেরই বিদ্রুপ করবার জন্য উপহার দিয়ে থাকি।
ম্যুজিয়ম থেকে বেরিয়ে পড়লাম। সম্মুখে শহীদ চত্বর। পুবদিকে মাইল তিনেক দীর্ঘ ‘শান্তি সড়ক’, দু’পাশে ৫৭ তলা বাড়ী, শ্রমিক ও বুদ্ধিজীবীদের আবাস ভবন। চত্বরের পশ্চিমে বিশাল নাট্যশালা গড়ে উঠছে, উত্তরে বাগান। আমরা চলেছি, ভল্গা নদীর দিকে। রাস্তার দু’পাশে যেমন নূতন ইমারত, তেমনি ভাঙ্গা বাড়ীগুলোও মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। প্রতিদিন চারদিক ঘুরে দেখেছি, প্রলয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা। এক একটা বাড়ী বহুভাবে বিদীর্ণ হয়ে প্রাগৈতিহাসিক যুগের অতিকায় জীবের কঙ্কালের মত পড়ে আছে; আবার ৫।৭ তলা বাড়ী ঠিক খাড়া আছে কিন্তু সর্বাঙ্গে বুলেটের ক্ষতচিহ্ন। এ বাড়ীগুলির উপর বোমা পড়েনি। এর
৯৫