পাতা:আমার দেখা রাশিয়া - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার (১৯৫২).pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আমার দেখা রাশিয়া

কাজ করে। প্রতি পাঁচ মিনিটে এক একখানি নূতন ট্রাকটর বা মোটর চালিত অতিকায় কলের লাঙ্গল কারখানা থেকে বেরিয়ে আসছে। দেখলাম হাজার খানেক নূতন ট্রাকটর দেশের বিভিন্ন কৃষিকেন্দ্রে চালান হবার জন্য প্রাঙ্গণে অপেক্ষা করছে। রেলের খোলা মালগাড়ীতে এগুলি ক্রেনে করে তোলা হচ্ছে।

 কারখানার ভেতরে প্রবেশ করলাম। এ যেন বিশ্বকর্মার কর্মশালা। বিভিন্ন বিভাগে ঘুর্ণিত বৈদ্যুতিক যন্ত্রে বিভিন্ন অংশ তৈরী হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে জোড়া দেওয়ার কাজও চলেছে; যন্ত্রচালিত ট্রলিতে এগুলি এক বিভাগ থেকে আর এক বিভাগে চলে যাচ্ছে। অবশেষে পুর্ণাঙ্গ ট্রাকটর হয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসছে। একটি কলের সামনে এসে আমরা দাঁড়ালাম। ডিরেক্টর বললেন, পূর্বে এটা চালাতে ২৪ জন শ্রমিকের দরকার হত। সোভিয়েত ইঞ্জিনিয়ররা এর এত উন্নতি করেছেন যে, এখন দু’জন শ্রমিকই এটা চালাতে পারে। এই দু’জনের একজন নারী শ্রমিক, তার বুকে দুটো সোনার মেডেল। ইনি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক হিরোইন। এঁকে প্রশ্ন করলাম, যন্ত্রের উন্নতির ফলে ২২ জন শ্রমিক ছাঁটাই হল; তা হলে যন্ত্রের উন্নতি কি শ্রমিকদের স্বার্থের বিরোধি নয়? উনি বললেন, তা কেন হবে? কায়িক শ্রম লাঘব করা এবং খাটবার সময় কমিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা ২২ জন কমরেডকে নূতন গঠন কাজে যোগ দেবার জন্য মুক্তি দিয়েছি। আমাদের এখানে কাউকে বেকার বসে থাকতে হয় না।

 এখানে শ্রমিক নরনারীরা হৃষ্টপুষ্ট বলিষ্ঠ দেহ, হাড়ভাঙ্গা

৯৮