আমার দেখা রাশিয়া
দিয়েছি। সত্যের প্রতি কিছুটা নিষ্ঠা থাকলে তাঁরা দেখতেন আমাদের মস্কৌ আসার অন্ততঃ তিন সপ্তাহ পরে আমি ঐ মন্তব্য করি, এবং দেশে ফিরে বহু জনসভায় এ কথা বলেছি।
‘লৌহ-যবনিকা’ কথাটি নানা উদ্দেশ্যে এবং নানা অর্থে ব্যবহৃত হয়।
প্রথম অভিযোগ— ওরা কতকগুলি পূর্ব-নির্দিষ্ট স্থান ও প্রতিষ্ঠান দেখায়। স্বাধীনভাবে কিছুই দেখবার উপায় নেই। আমন্ত্রিত প্রতিনিধিদের ‘কনডাক্টেড টুর’ ব্যবস্থায় সত্যিকার রাশিয়ার জনজীবন আড়ালেই থেকে যায়।
উত্তর— অল্প সময়ের মধ্যে দলবেঁধে বেশী দেখতে হলে, সর্বত্রই এমনি ব্যবস্থার আশ্রয় নিতে হয়। এক নিশ্বাসে যারা ইয়োরোপ বা ভারত ভ্রমণ করেন, তাঁরাও টমাস কুক বা ঐ জাতীয় প্রতিষ্ঠানের বাঁধা-ধরা স্থানগুলি দেখেন। রোমে আমার এ-অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিন্তু এখানে ব্যবস্থা স্বতন্ত্র। পূর্বদিন রাত্রে আমরা আলোচনা করে দ্রষ্টব্য স্থান বা প্রতিষ্ঠান ঠিক করে নিতাম। সেই অনুযায়ী এঁরা যানবাহনের ব্যবস্থা করতেন, সঙ্গে দোভাষী দিতেন। চোখকান খোলা থাক্লে সহর ও পল্লীর জনজীবন বোঝা বিশেষ কিছু শক্ত নয়। রূপকথার গল্পের মত এরা চোখবেঁধে আমাদের রহস্যময় পুরী দেখাতে নিয়ে যায়নি। সমাজতান্ত্রিক সভ্যতার নবসৃষ্টিকে এরা গর্বের সঙ্গে বিদেশী অতিথিদের দেখাবার জন্যই আমাদের আমন্ত্রণ করেছিল। এরা রেখে ঢেকে দেখাচ্ছে বা সাজিয়ে-গুছিয়ে দেখাচ্ছে, এমন সন্দেহ
১০৫