আমার দেখা রাশিয়া
আমার স্বদেশে এ সব বালাই ছিল না। আমাদের সদর দরজা হাজার বছর ধরে উন্মুক্ত। গ্রীক যবন, শক হুন তুর্কী পাঠান মুঘল, ইংরাজ ফরাসী পর্তুগীজ, দিনেমার, ওলন্দাজ সকলেই এসেছে। স্বাধীন হবার পরও পশ্চিমাদের প্রবেশদ্বার সর্বদাই উন্মুক্ত। আমাদের পক্ষেও স্বাধীন ভাবে ইয়োরোপ আমেরিকায় যেতে বিশেষ কোন হাঙ্গামা নেই। কিন্তু চীন ও রাশিয়ায় যেতে চাইলেই ‘খাদি যবনিকা’য় ধাক্কা খেতে হয়। আমেরিকা ইংলণ্ডেও সেই দশা। বিশেষ শ্রেণীর লোকের ছাড়পত্র নিয়ে প্রবেশ ও নির্গমন দুইই দুরূহ। সম্প্রতি বার্লিন যুব উৎসবে যোগদানে তরুণ তরুণীদের ছাড়পত্র না দেওয়ার কড়াকড়ি ভারতে বৃটেনে আমেরিকায় আমরা দেখলাম। কাজেই কাঁচের ঘরে বাস করে অপরের প্রতি ঢিল ছোড়া খুব নিরাপদ খেলা নয়। আন্তর্জাতিক রেষারেষিতে নিরপেক্ষ ভারত কোন শক্তি শিবিরে যোগ দেবে না বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ জহরলালের ভারতে আসবার জন্য রাশিয়ান প্রতিনিধি দল অনুমতি পায় নি; ভারতীয়দের অনেকেই রাশিয়ায় যাবার অনুমতি পায় না, কিন্তু আমেরিকার বেলায় এমনটি হয় না। যবনিকার পর যবনিকা আছে। তা লোহারই হোক আর যাই হোক।
১০৮