পাতা:আমার দেখা রাশিয়া - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার (১৯৫২).pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

এক

 “লৌহ-যবনিকার” ওপার থেকে যখন সোবিয়েত রাশিয়ার লেখক-সঙ্ঘের আমন্ত্রণ এলো, তখন জানতাম না এপারেও একটা ‘খাদি-যবনিকা’ আছে। অহিংস নিরপেক্ষতায় সমুজ্জ্বল দুগ্ধ-ধবল সাদা, কিন্তু তার ওপরও সিকিউরিটি পুলিশের ছায়ামূর্তি অস্পষ্ট ভাবে নড়াচড়া করে। চেনা যায় না, কিন্তু বোঝা যায়। রোম্বাই-এর দু’জন সাংবাদিক ছাড়পত্র পেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হ’ল। তিন জনকে ছাড়পত্র দিতে অস্বীকার করা হ’ল। ৭ই জুন (১৯৫১) বোম্বাই থেকে পাঁচ জন সাংবাদিক, লেখক কবি ও বৈজ্ঞানিক এক বিবৃতিতে বললেন, “যাঁরা বৃটেন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি দেশে ভ্রমণ করতে চান, তাঁদের অবারিত ভাবে সুবিধা দেওয়া হয়, কিন্তু যাঁরা সোবিয়েত রাশিয়া বা গণতান্ত্রিক চীনে বা অনুরূপ দেশে ভ্রমণ করতে চান, তাঁদের নানা ভাবে বাধা দেওয়া হয়ে থাকে। আমাদের বৈদেশিক নীতির মূল ভিত্তি, কোনো শক্তি-শিবিরে জড়িয়ে না পড়া এবং নিরপেক্ষ নীতির ঘোষিত উদ্দেশ্যের এটা বিপরীত।

 “আমরা ব্যক্তিগত ভাবে ও সম্মিলিত ভাবে চেষ্টা করেও, গভর্নমেণ্টের পক্ষ থেকে ছাড়পত্র না দেবার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ জানতে পারিনি, গভর্নমেণ্টের মনোভাব দুর্বোধ্যই রয়ে গেল।