আমার দেখা রাশিয়া
দেশে অনেকের কানে তা, বেসুরো শোনাবে এ আশঙ্কা আমার মনে আছে। সে সময়ে আমার মনে যে ভাবের উদয় হয়েছিল তা অসঙ্কোচে খুলেই বলি। মানব-সভ্যতার শৈশব থেকে সমাজ স্থিতির কতকগুলো ‘আইডিয়া’ (ধারণা?) সভ্যতার গতিপথের নিয়ামক। এর বিকাশ ও বিস্তারের ধারায় যতই বৈচিত্র্য থাকুক, স্ব-স্বরূপে অনিত্য সংসারে এটা নিত্যবস্তু। বৈষ্ণব পদকর্তা বলেছেন, “স্বরূপ বিহনে রূপের জনম কখনো নাহিক হয়।” সমাজের বিবর্তনে রাষ্ট্রনৈতিক ও অর্থ নৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের মূলে একটা ‘আইডিয়া’ কাজ করছে। আইডিয়া মানসলোক থেকে বাস্তব ক্ষেত্রে মূর্তি নেয়, বিলম্বে ও ক্লেশকর পদ্ধতির মধ্য দিয়ে। বৈষম্যের বিরুদ্ধে, অধিকার ভেদের বিরুদ্ধে, মানুষের লোভ ও দুর্বুদ্ধির বিরুদ্ধে নৈতিক সংগ্রাম যুগে যুগে রূপ থেকে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রাচীন যুগে যা ছিল আধ্যাত্মিক হৃদয়াবেগ, বর্তমান যুগে তাই বস্তুতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রবাদ। বেদের ভাষায়, “একং সদ্বিপ্রা বহুধা বদন্তি।”
বাগানের বেঞ্চে বসে দেখছি, নানাদেশের নরনারী এসেছে স্তালিনের জন্মভূমি দেখতে। তীর্থদর্শনের স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে যাবার জন্য ফটো তোলাচ্ছে; তিন জন ফটোগ্রাফার বেশ দু’পয়সা রোজগার করছে। আমাদের দেশে এবং সব দেশেই এমন আগ্রহ লোকের আছে। রোমে সেণ্ট পিটার্স চার্চেও দেখেছি তীর্থযাত্রীরা চার্চের পরিপ্রেক্ষিতে ফটো তোলাচ্ছে। আমরাও ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। মানব প্রকৃতি সর্বত্রই একরকম। আমরা যে ভাব
১২৩