আমার দেখা রাশিয়া
এবারে মস্কৌএ এসে বিখ্যাত স্তালিন অটোমোবাইল ফ্যাক্টরী দেখলাম। বহুবিভাগে বিভক্ত বিশাল কারখানা। এর তিন প্রধান বিভাগ থেকে প্রতি সাড়ে তিন মিনিটে একখানা করে বাস্ মোটরগাড়ী ও লরী বেরিয়ে আসছে। বিভিন্ন বিভাগে তৈরী অংশগুলি কেমন করে স্তরে স্তরে জোড়া দেয়া হচ্ছে তা ঘুরে ঘুরে দেখতে অনেক সময় লাগলো। মেয়ে পুরুষ দুইরকম শ্রমিকই আছে, প্রজ্জ্বলিত চুল্লী বা হাপর ও হাতুড়ী পেটার কাজে মেয়েদের নিয়োগ করা হয় না। আমরা শ্রমিকদের খাটুনীর পরিমাণ ও সময় নিয়ে প্রশ্ন করলাম। একজন রসিক শ্রমিক বললে, ছোট গোলামকে খাটাবার তরে এখানে বড় গোলাম চাবুক উঁচিয়ে নেই। ট্রেড্ ইউনিয়নের বাঁধা নিয়মে আমরা কাজ করি। কাজ চলেছে ঘড়ির কাঁটার মত।
এই কারখানার হাউস অফ কালচার বা সংস্কৃতি-ভবন একটা বৃহৎ ব্যাপার। বিরাট প্রাসাদ, বড় বড় হলে খেলাধূলা ছবি আঁকা বই বাঁধাই নানাবিধ হাতের কাজ শেখার ব্যবস্থা। শ্রমিকদের ছেলেমেয়েরা এখানে শিক্ষা ও আমোদ-প্রমোদ দুই-ই পাচ্ছে। একটা বড় হলে ঢুকে দেখি ছেলেমেয়েরা নানারকম খেলনা নিয়ে মেতে আছে, এ দৃশ্য কত সুন্দর ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ছোটদের ও বড়দের দুটো সিনেমা হল ও থিয়েটার রঙ্গমঞ্চ, তারপর লাইব্রেরী। শ্রমিকরা টেকনোলজী অর্থাৎ যন্ত্রবিজ্ঞান শিক্ষা করে উন্নত হতে পারে তারও দরাজ ব্যবস্থা। এদেশে এসে যতগুলো কারখানা দেখেছি, সর্বত্রই এ সব আছে। আর আছে শিশুপালনাগার
১৩৯