পাতা:আমার দেখা রাশিয়া - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার (১৯৫২).pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আমার দেখা রাশিয়া

কিণ্ডারগার্টেন প্রসূতিভবন চিকিৎসালয়। কৃষক শ্রমিকের রাষ্ট্রে এ হবে না তো আর কোথায় হবে? এখন দেখে আর অবাক হইনে!

 নিখিল রাশিয়ার ট্রেড্‌ ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় আপিস। কলকাতার লাল দীঘির দপ্তরখানার প্রায় তিনগুন। সমাজতান্ত্রিক সমাজে শ্রমিকদের গঠন কাজের ধারা নিয়ন্ত্রিত করবার স্নায়ুকেন্দ্র। আমরা একটা বড় হলঘরে সমবেত হলাম। চার পাঁচ জন বয়স্ক শ্রমিকনেতা আমাদের অভ্যর্থনা করলেন। আলোচনা প্রসঙ্গে জানা গেল ছয়ষট্টি প্রকার বিভিন্ন কারখানা শিল্প দপ্তরখানা শিক্ষালয়ের নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত। শ্রমিক শিক্ষক ও কেরানীর মোট সংখ্যা তিনকোটি ৯০ লক্ষ। এর মধ্যে তিন কোটি ট্রেড্ ইউনিয়নের সদস্য। শাখা ও আঞ্চলিক শ্রমিক সঙ্ঘগুলির বছরে দুইবার নির্বাচন হয়। কেন্দ্রীয় কমিটি যন্ত্রের উন্নতি, শারিরীক শ্রম লাঘব, শ্রমিকদের মর্যাদা, শিক্ষা স্বাস্থ্য সাংস্কৃতিক উন্নতি প্রভৃতি বিবেচনা করে সংস্কারের প্রস্তাব করেন, সর্বজনের সমর্থনে তা অনুমোদিত হলে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান তা গ্রহণ করেন এবং গভর্নমেণ্টও সেইভাবে আইন সংশোধন করেন।

 সদস্যরা উপার্জনের শতকরা একভাগ মাসিক চাঁদা দেয়। এ ছাড়া কারখানা ও গভর্নমেণ্টও নির্দিষ্ট হারে অর্থ দেন। এই অর্থে এরা বর্তমানে ৯ হাজার ৫ শ’ সংস্কৃতি ভবন

১৪০